দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা চালু হলে রোগীর চিকিৎসায় সহায়তা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন। পাশাপাশি অতীতের ভুল নিয়ে আফসোস না করে, সঠিকভাবে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
নৈতিক শিক্ষার অভাবে দেশ দুর্নীতির ভয়াল গ্রাসে নিমজ্জিত হচ্ছে উল্লেখ করে ডা: জাহিদ বলেন, গত ১৩ মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেই। সংস্কার কমিশন সব খাতেই কমিশন গঠন করলেও শিক্ষা কমিশন কেন গঠন করেনি, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সংলাপে’ এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ভালো চিকিৎসক থাকলেও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দায়বদ্ধতার অভাবে সাধারণ রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, দেশের আজকের অধঃপতনের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী শিক্ষিত মানুষ। ‘চাটার দল, মোসাহেবিরা দেশটাকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছে, এর থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রধান উপদেষ্টা অ্যাড্রেস করবেন- আশাবাদী ছিলাম। আমরা কোথায় যাচ্ছি? ৭১, ৯০, ২৪-এর শহীদের রক্ত কাউকে ছাড়বে না।’
নীতি নির্ধারণে বিদেশী নয়, দেশের জোয়ার-ভাটার সাথে মানিয়ে নেয়া মানুষকে গুরুত্ব দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ডা: জাহিদ আরো বলেন, ‘সুশাসনের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। মান ধরে রাখতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে পৃথিবীর সাথে অ্যাক্রিডিটেশন পলিসি নিতে হবে। শাসনব্যবস্থায় ইল মোটিভ না থাকলে শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।’
সংলাপের সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। বক্তৃতা করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা: তাসনিম জারা প্রমুখ।