সাম্প্রদায়িক শক্তি ও পরাজিত আওয়ামী লীগ সামনের জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ম যার যার কিন্তু দেশটা সবার। মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খিস্ট্রান সবাই একত্রিত হয়েছিলাম, এবার সুন্দর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে আবারো ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লড়াই করেছেন, করে যাচ্ছেন।
শনিবার রাজধানীর শাহজাহানপুরে একটি মাদরাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
গয়েশ্বর বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা থাকা দরকার। সংস্কার বিচার নিয়ে নতুন নতুন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। রাষ্ট্র সংস্কার ও বিচার এগুলো চলমান প্রক্রিয়া।’
গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মদিনের আনন্দ-আবেগ ও ভালোবাসা প্রকাশ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। দীর্ঘ ১৭ বছর দেশের সবাই নির্যাতিত, কিন্তু খালেদা জিয়ার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। গোটা পরিবারকে বিলীন করে দেয়ার জন্য তাকে গৃহহীন করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার জন্য, এমন কোনো কাজ নেই তারা করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে যারা লুটপাট করছে, গুম-খুন করেছে, মানুষকে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, তাদের বিচার আমরা চাই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই এর বিচার করবে। বিচার প্রক্রিয়া তাড়াহুড়ো করে নয়। আগামী দিনে বাংলাদেশ হবে ন্যায় বিচারের বাংলাদেশ, সুশাসনের বাংলাদেশ এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ। তাহলে হয়তো অভ্যুত্থানে যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের জন্য আমরা গর্ববোধ করতে পারব।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ এ দেশের মানুষকে আমরা উপহার দিতে চাই। সেজন্য দেশনেত্রী ও তারেক রহমানের সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ মহানগরের নেতাকর্মী এবং মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীরা।