খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য দায়ী হাসিনা : রিজভী

বিএনপি চেয়ারপারসন কোনো দিন দেশ, মাটি, জনগণ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সাথে আপস করেননি। এজন্য তার প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। সবাই আল্লাহর কাছে হাত তুলেছেন, মোনাজাত করছেন তার আশু সুস্থতার জন্য।

অনলাইন প্রতিবেদক
রুহুল কবির রিজভী
রুহুল কবির রিজভী |ইন্টারনেট

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য সরাসরি দায়ী শেখ হাসিনা। দেশ-বিদেশের চিকিৎসকরা ছুটে এসে তার চিকিৎসায় জড়িত হয়েছেন। বিশ্বনেতারাও তার সুস্থতা কামনা করছেন। সবার দোয়া বিফলে যাবে না, তিনি অবশ্যই সুস্থ হয়ে উঠবেন।’

আজ বুধবার নয়াপল্টনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী কৃষকদল আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে আবারো নেতৃত্বে ফিরবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন কোনো দিন দেশ, মাটি, জনগণ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সাথে আপস করেননি। এজন্য তার প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। সবাই আল্লাহর কাছে হাত তুলেছেন, মোনাজাত করছেন তার আশু সুস্থতার জন্য। আমার নেত্রী কোনোদিন ক্ষমতার জন্য এমন কোনো কাজ করেননি, যার জন্য মানুষ তার প্রতি বৈরী হবে।’

নব্বইয়ের দশকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো কিশোর-শিশু-তরুণ যাতে হত্যার শিকার না হয়, সেদিক মাথায় রেখেই ১৯৯৬ সালে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে যেন কোনো সহিংসতা না ঘটে- এ জন্য সরকার গঠন করে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যারা সহিংসতা ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এনেছিল, তারাই পরে ক্ষমতায় এসে সেই ব্যবস্থা বাতিল করেছে। অর্থাৎ আমি যখন চাইব তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সেটাই দিতে হবে। আর আমি যখন চাইব বিলুপ্ত করতে, সেটাই হবে। সেই কাজ করেছেন শেখ হাসিনা।’

শেখ হাসিনা ‘আমি যাহা চাই, মন যাহা চায়, আমি সেটাই করর’- রাজত্ব কায়েম করেছিলেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘রাজত্ব কায়েম করেছিলেন বলেই জনগণের উত্তাল তরঙ্গ, এমন প্রবল স্রোত তাকে ধাক্কা দিলো যে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালাতে বাধ্য হলেন।’

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না, যাতে জনগণের কষ্ট বাড়ে; বরং জনস্বার্থে কাজ করুন। সয়াবিনের লিটার যদি হঠাৎ করে নয় টাকা বেড়ে যায় এবং খোলাবাজারে যদি পাঁচ টাকা হয়, তাহলে জনগণ কষ্ট পাবে, জনগণ দুঃখ পাবে- এটা করবেন না।