সালাহউদ্দিন আহমেদ

জুলাই জাতীয় সনদের সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্পর্ক নেই

‘এখন হলো কোনো কোনো বাহানায় কেউ কেউ স্বাক্ষর করতে হয়তো চায়নি, সে সুযোগ আর থাকলো না কিংবা আমরা দিলাম না।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ |ছবি : নয়া দিগন্ত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও বিশ্বের মধ্যে স্বীকৃত হয় সেরকম একটা ট্রেডিশনাল ইলেকশন করার লক্ষ্য আমাদের। সেটা করার লক্ষ্যে আমরা জুলাই জাতীয় সনদ যেটা প্রণয়ন করছি, তার সাথে নির্বাচনের সম্পর্ক কী? আমি মনে করি, জুলাই জাতীয় সনদের সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক নেই।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংস্কার সারা জাতি চায়, আমরাও চাই। যেই দলই ক্ষমতায় আসুক বা জাতীয় সংসদে যারাই মেজরিটি পাক তাদেরকে এটা বাস্তবায়ন করতেই হবে। গণভোটের কথা আমরা বলেছি।

তিনি বলেন, আমরা সবাই জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর করব, যে সমস্ত বিষয়ে ভিন্ন মত আছে, নোট অফ ডিসেন্ট আছে। এগুলো একদম পরিষ্কারভাবে দফাওয়ারি উল্লেখ থাকবে, কী কী বিষয়ে, কিভাবে নোট অফ ডিসেন্ট আছে? কারণ, নোট অফ ডিসেন্ট দেয়ার এখতিয়ারের জন্যই তো আমরা ঐকমত্য কমিশনে আলাপ আলোচনা করেছি। যদি তা না হতো তাহলে ঐকমত্য কমিশন যদি আমাদেরকে প্রস্তাব দিত সেই সকল প্রস্তাবে যদি সবাই একমত হয়ে যেত তাহলে তো আলোচনার কোনো প্রয়োজন ছিল না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বলেছি, গণভোটের মধ্য দিয়ে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সেই সম্মতিটা নেয়া যায়। যার মধ্য দিয়ে জুলাই জাতীয় সনদের সমস্ত প্রস্তাবগুলো যেগুলো ঐকমত্যে ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে; নোট অফ ডিসেন্সসহ সেটা বাস্তবায়ন হবে।

সালাহউদ্দিন বলেন, যারা নোট অফ ডিসেন্ট দিয়েছে, সেটা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করে যদি জনগণের ম্যান্ডেট প্রাপ্ত হয়, তাহলে তারা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। এখন একই রকম কথা সমস্ত নোট অফ ডিসেন্ড দেয়া দফাগুলোতে উল্লেখ থাকবে। সেটা আরো শক্ত হলো। এখন হলো কোনো কোনো বাহানায় কেউ কেউ স্বাক্ষর করতে হয়তো চায়নি, সে সুযোগ আর থাকলো না কিংবা আমরা দিলাম না।