সালাহউদ্দিন আহমেদ

নির্বাচনকে বিলম্বিত করার যেকোনো কৌশলকে জনগণ প্রত্যাখান করবে

‘আমরা বলেছি, পিআর পদ্ধতি কারো কারো রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা আছে, এই পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার জন্য তারা তাদের নির্বাচনের ইশতেহারে সেই বিষয়টা উল্লেখ করে জনগণের কাছে যাক, তারা যদি জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত হয় তাহলে তারা তখন সেটি প্রণয়ন করতে পারবে।’

অনলাইন প্রতিবেদক
গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ
গণমাধ্যমের সাথে কথা বলছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ |নয়া দিগন্ত

নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য বা বাধাগ্রস্ত করার জন্য যেকোনো কৌশলকে এ দেশের জনগণ প্রত্যাখান করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গুলশানের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১৭ বছর এদেশের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এবং রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কার এই দাবি এগুলো বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ ও রাজনৈতিক সরকার হবে। এই পথে যারাই বাধা সৃষ্টি করতে চাইবে, এই হীন রাজনৈতিক কৌশলে এবং দলীয় চরিতার্থ উদ্দেশে তাদেরকে জনগণ প্রত্যাখান করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, পিআর পদ্ধতি কারো কারো রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা আছে, এই পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার জন্য তারা তাদের নির্বাচনের ইশতেহারে সেই বিষয়টা উল্লেখ করে জনগণের কাছে যাক, তারা যদি জনগণের ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত হয় তাহলে তারা তখন সেটি প্রণয়ন করতে পারবে।’

১৪ দল নিষিদ্ধের দাবি তুলছে রাজনৈতিক দলগুলো— এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার করেছি, যেকোনো রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ নির্বাহী আদেশে হোক, সেটা আমরা চাই না। আইনের মাধ্যমে বিচারে মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হোক। অন্য যেকোনো প্রক্রিয়া বা নির্বাহী আদেশ মধ্য দিয়ে যদি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ চাই তাহলে সে এটা হবে একটা ভয়ঙ্কর চর্চা।’

তিনি বলেন, ‘২৪ সালের ৭ জানুয়ারি আমি-ডামি নির্বাচনে তো ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। তাহলে তো সবগুলোকে নিষিদ্ধের দাবি তুলতে হবে। তাহলে কাদের নিয়ে নির্বাচন করবো? আর যদি দলগুলো বলে, নির্বাচনে অংশ নিবে না, তখন কী করে নির্বাচন হবে?’

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ তুলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘কিছু প্রস্তাব দেয়ার বিষয়ে আগামীকাল আলোচনা করব। আমরা নীতি ঠিক করেছি, এমন কোনো প্রক্রিয়াকে আমরা অনুমোদন করব না, যেমন স্পেশাল কোনো সেশন অর্ডার, বিশেষ অর্ডার যাই হোক, যেই প্রক্রিয়াটা বিদ্যমান সংবিধান প্রকাশ থাকার সত্ত্বেও সেটা আবার অনুমোদিত হবে, তাহলে একটা খারাপ নজর সৃষ্টি হবে।’