১০ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক রাশেদুল হক

রাশেদুল হক বিগত ১০ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করে বিভিন্ন কূটনৈতিক কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করেন, এরপর ২০২২ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন।

অনলাইন প্রতিবেদক
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক |নয়া দিগন্ত

প্রায় দশ বছর পর নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক।

আগামীকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বিদেশে থাকাকালীন বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং শেখ হাসিনা সরকারের নির্যাতনের বিভিন্ন ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিগত ১০ বছরে রাশেদুল হক অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করে বিভিন্ন কূটনৈতিক কাজ করেছেন। তিনি ২০১৯ সালে বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করেন, এরপর ২০২২ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় রাশেদুল হকের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দী ইস্যু এবং দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ মানবাধিকার ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট (আপার হাউজ সিনেট ও নিম্নকক্ষ) এবং পার্লামেন্টের সদস্যদের সাথে কূটনৈতিকভাবে কাজ করা। যে কারণে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি মন্তব্য করে পুনরায় নির্বাচনের প্রথম দাবি জানানো হয়। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আল বেনেজি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনিও বিবৃতি দিয়েছিলেন। পরে বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে মোশন পাস এবং চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়।

জানা যায়, সর্বশেষ ৪৩ জন সিনেটর ও এমপি বাংলাদেশের নির্বাচন ও র‌্যাবের বিলুপ্তি চেয়ে বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তারা জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার পাশাপাশি শহীদদের পুনর্বাসনেরও দাবি জানান।

এছাড়াও ১/১১ পরবর্তী সময় হতে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিতভাবে সেমিনার, আলোচনা সভা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস, বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্টেটসে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। এই দীর্ঘ সময় ধরে দল ও দেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাশেদুল হকের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম দলের হাইকমান্ড থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। দীর্ঘ এক দশক পর রাশেদুল হকের দেশে ফেরা নিঃসন্দেহে দেশের রাজনৈতিক মহলে আলোচনা সৃষ্টি করবে বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন।