বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ক্ষমতায় গেলে বিএনপি অর্থনীতির নতুন মডেল করবে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ইকোনমিক রিফর্ম সামিট-২০২৫ এ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, ৩১ দফা বিএনপির কমিটমেন্ট। কেউ ঐকমত্য হোক বা না হোক বিএনপি বাস্তবায়ন করবে। নির্বাচনী জোটের শরীকদের পছন্দ মতো প্রতীকে ভোট করতে দেয়া উচিত। রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না।
পলিসি মেকিং আমলাদের কাজ না উল্লেখ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘যারা সংশ্লিষ্ট তাদের দিয়ে করতে হবে। মূল অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় নতুন অর্থনৈতিক মডেল প্রস্তুত করতে হবে। সবার অংশগ্রহণ থাকতে হবে। সবার সুযোগ থাকতে হবে। গণতন্ত্রিক অর্থনীতির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বিএনপি। ক্ষমতায় গেলে অর্থনীতির নতুন মডেল করবে বিএনপি। তৃণমূলের অর্থনীতির কারিগরদের ওপর বিনিয়োগ করতে হবে।’
আমির খসরু বলেন, প্রত্যেকটি অঞ্চলে স্পোর্টস কমপ্লেক্স করা হবে। সেখানে সব রকম খেলাধুলা হবে।
তিনি বলেন, ঢাকায় বড় থিয়েটার ডিস্ট্রিক্ট করা হবে। সেখানে শিল্পীরা কাজ করবে। বিনিয়োগ আনতে হলে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বিডাতে বেসরকারি লোকজন থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ওয়াচ ডগ হিসেবে কাজ করতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। রাজনৈতিক দল সরকার চালায় না, সরকার চালায় প্রতিষ্ঠান। মানুষের জন্য সরকার চালাতে চাইলে প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীন করতে হবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘বিএনপি প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করেনি। তাই ব্যাংক শেয়ারবাজারে লুটপাট হয়নি। বড় প্ল্যান নিয়ে আমরা আসছি। ব্যাংকিং ডিভিশন থাকবে না।’
অনুষ্ঠান থেকে বের হলে সাংবাদিকরা বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্ন করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতাকে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, দেশে যখন গণতন্ত্র আছে, আগামীতেও থাকবে, দাবি-দাওয়া নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়া ভালো।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না আনতে পারলে শত সংস্কার করেও কোনো লাভ হবে না। আমাদের মধ্যে সহনশীলতা আনতে হবে। অন্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেও তার প্রতি সম্মান জানাতে হবে। তার মতের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
শান্তিপূর্ণ মনোভাব রক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কারো কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে রাস্তায় না গিয়ে জনগণের কাছে যাওয়া ভালো। এটাই গণতন্ত্রের নিয়ম। গণতন্ত্র না থাকাকালীন আমরা রাস্তায় গেছি। দেশে যখন গণতন্ত্র আছে, থাকবে আগামীতে, আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে এসে এটা পাস করতে হবে। রাস্তায় কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নয়। কোনো স্থিতিশীলতা নষ্ট করে নয়।
অ্যাকশন-এইড ও বিডিজবস ডটকমের সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী এই সামিট যৌথভাবে আয়োজন করে নাগরিক কোয়ালিশন, ইনোভেশন, ফিনটেক সোসাইটি, বিআরএআইএন ও ভয়েস ফর রিফর্ম।
সূত্র : বাসস



