পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিয়ে ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থান প্রতিহত করতে হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে অতীতের মতো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হবে। ফলশ্রুতিতে আবারো ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থান ঘটবে। জাতি আর কোনো ফ্যাসিস্টকে দেখতে চায় না। আমরা চাই সকল ভোটারের ভোটকে মূল্যায়ন করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হোক। এর ফলে মনোনয়ন বাণিজ্য, রাজনীতিতে পেশীশক্তির ব্যবহার ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে। নতুন ধারার রাজনীতির চর্চা হবে। এতে জাতিকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দেয়া সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোনাপাড়া থানার উদ্যোগে আধুনিক, নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও মানবিক ঢাকা-৫ গড়ার লক্ষ্যে ৬৪ ওয়ার্ডের মোমেনবাগ, বাগিচা এলাকার স্থানীয়দের সাথে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও তাদের বিচারের মুখোমুখি করার ৫ দফা দাবি বাস্তবায়িত হলে নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণের পথ তৈরি হবে। ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা, একনায়কতন্ত্র-স্বৈরতন্ত্র বন্ধ হবে। ফলে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রতিটি মানুষ সমান স্বাধীনতা ও সুযোগ-সুবিধা লাভ করবে। ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন ব্যতীত জনগণের মৌলিক পাঁচটি অধিকার নিশ্চিত হবে না। জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জাতীয় ৫ দফা দাবি মেনে নিতে তিনি আহ্বান জানান।
ঢাকা-৫ আসনের উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে কামাল হোসেন বলেন, অতীতে যারাই জনপ্রতিনিধির আসনে বসেছে তারা প্রত্যেকে নিজের, পরিবারের আর দলের স্বার্থ ব্যতীত জনগণের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে তারা জনগণের সম্পদ, রাষ্ট্রীয় অর্থ হরিলুট করেছে। দেশে-বিদেশে তারা সম্পদের পাহাড় গড়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী যা আজ জনগণের সামনে পরিষ্কার।
কামাল হোসেন বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসলে দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ-সুবিধা ও স্বাধীনতা লাভ করবে। প্রত্যেকের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্র পালন করবে। জাতিকে একটি সুখি-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক রাষ্ট্র উপহার দেবে।
তিনি ঢাকা-৫ সংসদীয় এলাকাকে শান্তির নীড় হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে স্থানীয়দের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও কোনাপাড়া থানা আমির আকতারুজজামান চয়নের সভাপতিত্বে ও কোনাপাড়া থানা কর্মপরিষদ সদস্য এবং মোমেনবাগ ওয়ার্ডের সভাপতি হারুন রশিদের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মাওলানা ওমর ফারুক, ৬৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমাম হোসেন মিরাজ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য খন্দকার সামদানী, মাস্টার তারিকুল ইসলাম, মাওলানা শরীফুল ইসলাম, মাওলানা মীর আল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার ইমামুল হক, থানা শূরা সদস্য মাস্টার নাসির উদ্দিন, যুব ওয়ার্ড সভাপতি মনজিল মাহমুদ, ৬৪ উত্তর ওয়ার্ড সেক্রেটারি মাওলানা মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।