সালাহউদ্দিন আহমদ

সবাই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়, সংশয় থাকবে কেন?

কিছু কিছু ঘটনা একই সূত্রে গাথা, দেশে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য হয়তোবা এগুলো করে থাকতে পারে কোনো কোনো গোষ্ঠী।

অনলাইন প্রতিবেদক
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ |নয়া দিগন্ত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল কি বলেছে যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় না? জানা থাকলে বলুন। সবাই বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন চাই। যদি তাই হয়, তাইলে সংশয় থাকবে কেন? পিআর দাবিতে আন্দোলন করছে কিছু দল, এটাই গণতান্ত্রিক চর্চা। এই গণতান্ত্রিক চর্চার জন্যই তো আমরা জীবন দিয়েছি।

আজ রোববার গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি তার (শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে দেয়া) বক্তব্য আংশিক কাট করে বলেছে বলে জানান সালাহউদ্দিন।

তিনি বলেন, আমার একটি বক্তব্য নিয়ে গতকাল একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রেস কনফারেন্সে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বা করার চেষ্টা করেছে। তারা একটা বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আমাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, এটাকে স্বাগত জানাই। এভাবেই রাজনৈতিক চর্চা হওয়া উচিত, গণতান্ত্রিক চর্চা হওয়া উচিত। যথেষ্ট সম্মানের সাথেই তারা কথাগুলো বলেছেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পূর্বে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমি বলেছিলাম, জুলাই যোদ্ধা নামে একটি সংগঠন আমাদের সাথেও কথা বলেছিল, ঐক্যমত কমিশনের সাথেও কথা বলেছে। তাদের একটা যৌক্তিক দাবি ছিল। সেই যৌক্তিক দাবি পূরণের জন্য আমি নিজেও স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। কথা বলেছিলাম এবং সেটা ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রিয়াজ সঠিকভাবে এড্রেস করেছেন। সেটা প্রেসে বলেছেন এবং সংশোধন করেছেন। এরপরে তাদের অসন্তোষ থাকার কথা নয়। যে সমস্ত বিশৃঙ্খলা হয়েছে আমরা খোঁজ নিয়েছি, এটা তদন্তনাধীন আছে। দেখা গেছে এখানে জুলাই যোদ্ধাদের নামে কিছু সংখ্যক ছাত্র নামধারী, সেটা ইন্টারভিউতে আমি দেখেছি, কিছু উশৃঙ্খল লোক ঢুকেছে সেটা ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে আমি মনে করি এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী যে এখনো সমস্ত জায়গায় বিভিন্ন ফাঁক-ফোকরে করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। সেটা দৃশ্যমান হয়েছে। এখানে সঠিক কোনো জুলাই যোদ্ধা, জুলাই অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত কোনো সংগঠন অথবা কোনো ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে না। এটা ছিল আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য। এই কথার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে আমি জুলাই অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত ব্যক্তি সংগঠন এবং শক্তিদের সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি। যাতে কোনো ক্রমে কেউ যেন জুলাই যোদ্ধাদের এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের জন্য উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত না করতে পারে এবং তাদের সম্মানহানি না হয়।

তিনি বলেন, আমি মনে করি না আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তবে আংশিক বক্তব্যটা কাট করে তারা (এনসিপি) কথা বলেছে বলে আমার মনে হয়। কারণ আমি আমার বক্তব্যের শেষ লাইনে বলেছি যে ওখানে কোনো সঠিক জুলাই যোদ্ধা, কোনো জুলাই অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত কোনো সংগঠন অথবা ব্যক্তি ওই বিশৃঙ্খল ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে না। জড়িত থাকতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না।

দেশের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাম্প্রতিক সময় দেখতে পেয়েছি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, বিষয়টি কিভাবে দেখছেন? এর পেছনে কোন কারণ আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এ বিষয়ে পরে কথা বলা যাবে। কারণ বিষয়গুলো তদন্তাধীন আছে। সরকারও সম্ভবত একটা তদন্ত টিম করেছে, তাদের ফাইন্ডিংস কী আসে দেখা যাক। তবে আমার মনে হয়, কিছু কিছু ঘটনা একই সূত্রে গাথা, দেশে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য হয়তোবা এগুলো করে থাকতে পারে কোনো কোনো গোষ্ঠী। এর সাথে হয়তো পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা এবং পতিত ফ্যাসিবাদ জড়িত থাকতে পারে। তবে সেটা তদন্ত করার আগে বলা যাবে না।