প্রশাসনে থাকা আ’লীগের দুর্বৃত্তরা দেশকে অস্থিতিশীল করে আরেকটা ১/১১ ঘটাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের ভেতরে থাকা আওয়ামী দুর্বৃত্তরা দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে।’
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের বড়বাড়ী এলাকায় শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, ‘শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানকে গতকাল রাতে এই এলাকা থেকে সাদা পোশাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। আব্দুর রহমান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই তাকে টার্গেট করে এই কাজটি করা হয়ে থাকতে পারে। আব্দুর রহমানের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আমরা আওয়ামী লীগের আমলে দেখতাম বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের এভাবে তুলে নিতো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরও এমন ঘটনা কাম্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৯ আগস্ট গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করেছিল সেই হামলার বিচার হলে আজকে এমন ঘটনা ঘটতো না। নুরুল হক নুরের ওপর, যুক্তরাষ্ট্রে উপদেষ্টা মাহফুজ ও আখতারদের ওপর হামলা চেষ্টা, গত রাতে আব্দুর রহমানের ওপর হামলা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পরিকল্পিতভাবে গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। সেখানে জড়িত রয়েছে পতিত স্বৈরাচারের দোসর এবং প্রশাসনে থাকা আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। এগুলো পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের কাজ। পুলিশ সেনাবাহিনীতে থাকা আওয়ামী লীগের দোসররা বিপ্লবীদের টার্গেট করে হামলা করছে। এই প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা দেশকে অস্থিতিশীল করে আরেকটা ১/১১ ঘটাতে চায়। এ সরকারের ভেতরে থাকা আওয়ামী দুর্বৃত্তরা দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে।’
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান বলেন, ‘এ হামলা আব্দুর রহমানের ওপর হামলা নয়। এটা জুলাই আগস্ট অভ্যুত্থানের নেতাদের ওপর হামলা। এ হামলা আবু সাঈদ ও মুগ্ধের ওপর হামলার শামিল। সুতরাং ২৪ ঘণ্টা পার হলেও প্রশাসনের তেমন কোনো ব্যবস্থা প্রত্যক্ষগোচর হয়নি। সুতরাং আজকের মধ্যে অবশ্যই দৃশ্যমান পদক্ষেপে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। আমরা সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, দ্রুত আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদেরকে প্রশাসন থেকে অপসারণ করতে হবে। এই আওয়ামী প্রশাসন দিয়ে দেশকে ভালোভাবে চালানো সম্ভব না।’
বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর বলেন, ‘আব্দুর রহমান ভাইকে সাদা পোশাকে গুম ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে যেটার ৫ আগস্ট ২০২৪-এ কবর রচিত করা হয়েছিল। এখন যদি আবারো সেই সাদা পোশাকধারীদের আনাগোনা দেখা যায় এই ইন্টেরিমকে টেনে হিঁচড়ে নামানো হবে এবং অনতিবিলম্ব হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে সারাদেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের গাজীপুর জেলার সভাপতি রবিন মিয়ার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম প্রমুখ।