সালাহউদ্দিন আহমদ

নির্বাচনের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশকারীরা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়

দেশের সমসাময়িক রাজনীতির বিষয়ে সমস্ত দিকনির্দেশনা পাচ্ছি খালেদা জিয়ার কাছ থেকে। তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সহজ করতে হবে।

অনলাইন প্রতিবেদক
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ |নয়া দিগন্ত

নির্বাচনের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশকারীরা গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয়। তারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষের শক্তি নয়। তারা হয়ত কোনো কারণে নিজের কথাগুলো ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছেন, যাতে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা যায় অথবা বানচাল করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ঐক্যবদ্ধ। যারা এর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিবে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ রুখে দাঁড়াবে।

আজ শনিবার রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে যুবদল।

সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি- গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যেকোনো বাধাকে অতিক্রম করতে বাংলাদেশের মানুষ সংকল্পবদ্ধ। সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব- আপনারা যেভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, সেই একই রকম ঐক্য নিয়ে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ঐক্যবদ্ধ থাকি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রাম করে আপসহীন উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন তিনি। স্বৈরাচারকে হটিয়েছেন দেশে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। পরে জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্দলীয় নিরেপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করেছেন। তিনি আজো বাংলাদেশের মানুষের জন্য আলোর দিশারি হয়ে বেঁচে আছেন।

বিএনপি’র এই নেতা বলেন, দেশের সমসাময়িক রাজনীতির বিষয়ে সমস্ত দিকনির্দেশনা পাচ্ছি খালেদা জিয়ার কাছ থেকে। তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সহজ করতে হবে। তার নির্দেশনা মোতাবেক আমরা সরকার ও সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তির সাথে অনেকবার আলাপ-আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, আমরা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুষ্ঠু-নিরেপক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমান। আমরা সেই গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষয়মান, যে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, অন্ধত্ব বরণ করেছেন। এই গণতন্ত্রের জন্য আমরা গত ১৫-১৬ বছর সংগ্রাম করেছি। এই গণতন্ত্রকে যদি আমরা বিনির্মাণ করতে চাই, একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে আমাদের জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।