জাতীয় সংসদে নারী আসন ১০০ করার করার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে নারী আসন ও তার নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাবে এমন মতানৈক্য দেখা গেছে।
নারী আসন বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পিআর (আনুপাতিক নির্বাচন) হলে সরাসরি নারী ১০০ আসনের পক্ষে জামায়াত। আর আগের নিয়মে হলে সংরক্ষিত ৫০ আসন ঠিক আছে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘চলমান নারী ৫০ আসনে আনুপাতিক হারে নির্বাচন করা হোক। সরাসরি নির্বাচনে নারী ১০০ আসনে নির্বাচন করা বিষয়ে অধিকাংশ দলই একমত।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি ঠিক থাকুক। আর আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো থেকে নারী আসনে ৫ শতাংশ এবং সংশোধনী পর ১০ শতাংশ সরাসরি নির্বাচনের মনোনয়ন দেয়া হোক।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘নারী আসন ১০০ করার পক্ষে প্রায় সবাই একমত। তবে কিভাবে নির্বাচন হবে সেটি বিষয়। অনেকে সরাসরি নির্বাচন চাচ্ছেন না।’
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, ‘নারী ১০০ আসন চাই এবং সরাসরি নির্বাচন চাই। ইউপি বা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো তিনটা ওয়ার্ড মিলে সরাসরি নির্বাচন দেয়া হোক।’
গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন শক্ত নয়, যেদিক থেকে চাপ, সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। নারী আসন ১০০ করা হোক, তবে সরাসরি নির্বাচন হতে হবে।’
আম জনতা পার্টির নেত্রী সাধনা মোহন বলেন, ‘৩০০ আসন থেকে ১০০ আসনে নারীদের জন্য করা হোক। এবং সরাসরি নির্বাচনে নারী, নারীর সাথে প্রতিযোগিতা করবে। এটাই নারী প্রতিনিধিত্ব।’