যারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায় তাদেরকে জনগণ দেশ থেকে বিতাড়িত করবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলেও পুলিশ সেনাবাহিনী ও আমলাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দোসররা রয়ে গেছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আমলাদের মধ্যে থাকা দোসররা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায়। আমরা আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে বিতারিত করেছি যারা আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চায় তাদেরকে দেশকে বিতাড়িত করবে জনগণ।’
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, ভিপি নুরের ওপর হত্যাচেষ্টার বিচার এবং জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদী ১৪ দলের নিষিদ্ধের দাবিতে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের মশাল মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সন্ধ্যা ৭টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, প্রেসক্লাব ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আবু হানিফ বলেন, ‘২৯ আগস্ট রাতে পুলিশ সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্যের হামলায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। নুরুল হক নুরের ওপর হামলার আজকে ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও সরকার কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না আমরা জানতে চাই। নুরুল হক নুরের ওপর হামলার বিচার না হলে সামনে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে। নুরুল হক নুরের ওপর হামলা মানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর হামলা। এই হামলা যারা করেছে তারা মূলত জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদেরকে এই দেশে ঠাঁই দেয়া হবে না। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গত ১৫ বছর যে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল তার সহযোগিতা করেছিল এই জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল। তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এস এম নুরে এরশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘এই জাতীয় পার্টি এক সময় নির্ভেজাল দোসর ছিল; ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তখন পতন হয়। কিন্তু স্বার্থান্বেষী রাজনীতির কারণে জাতীয় পার্টি রাজনীততে পুনর্বাসিত হয়। গত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার সুপরীক্ষিত দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টি ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্ছিষ্ট ভোগ করে। গণতন্ত্রের ধ্বংসকারী ও গণহত্যাকারীদের দোসর জাতীয় পার্টিকে নতুন বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।’
বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানের ও সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য রবিউল হাসান, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক আসাদুজ্জামান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ঈসমাইল, শ্রমিক নেতা রুবেল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি