বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘তফসিল ঘোষণার পরেরদিনই টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে প্রতিবাদ মিছিল পূর্বক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘এই হামলা গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা ছাড়া অন্য কিছু নয়। ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশে সংঘটিত হামলা হচ্ছে জুলাই যোদ্ধাদের ভয়ভীতি লাগানো। দিনে-দুপুরে কিভাবে এমন নৃশংস হামলা হয়েছে সেটি প্রশাসনকে পরিষ্কার করতে হবে। এই ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি কতটা নাজুক।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা গলা ফুলিয়ে কথা বলেন, সিইসি গলা ফুলিয়ে কথা বলেন, কিন্তু ওসমান হাদির মতো একজন নেতার যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার অবস্থা কী সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।’
সন্ত্রাসীদের দমনে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চিরুনী অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘ওসমান হাদীদের নেতৃত্বে যেই নতুন বাংলাদেশ জাতি পেয়েছে সেই নতুন বাংলাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলতে দেয়া যায় না।
সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে আরেকটি অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিতে ছাত্র-জনতাকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি সন্ত্রাসীদের দমন করতে না পারে তবে মানুষ আবারও অভ্যুত্থান ঘটাবে। ওসমান হাদিকে কেন হত্যা করতে হবে, কারা হত্যা করবে এটি জনগণ বুঝে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওসমান হাদির উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে না পারলে জনগণ রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।’
তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘যারা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের নিরাপত্তা আজ থেকেই নিশ্চিত করতে হবে। ওসমান হাদিকে হত্যার পরিকল্পনাকীরসহ সন্ত্রাসীদের গডফাদারকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেনের পরিচালনায় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, মহানগীরর কর্মপরিষদ সদস্য বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য কামরুল আহসান হাসান, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমেদ খান, মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুর রহমান, মহানগরীর সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন, সহকারী মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমনসহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতারা।
সমাবেশে শেষে, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে এক প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে হাজার-হাজার নেতাকর্মী রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।



