বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: মো: রফিকুল ইসলাম বলেছেন, পিআর পদ্ধতি দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় জেনেও একটি চক্র এ নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, ‘ইসরাইলসহ যে দেশগুলোতে পিআর পদ্ধতি চালু রয়েছে, সেখানেও এটি বিতর্কিত। জনগণ ভোট দিয়ে যাকে নির্বাচিত করবেন, তিনি যদি নিজ এলাকায় কাজ করার সুযোগ না পান, তবে সেই পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ওয়ার্ল্ড ফার্মাসিস্ট ডে উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফার্মাসিস্ট আয়োজিত র্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা: রফিক বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের সময় যারা জেলে ছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ পিআর পদ্ধতির দাবি তোলেননি। তখন কেবল বিএনপির নেতাকর্মীরাই আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তাই পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে- জুলাই অভ্যুত্থানে কার কত অবদান রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, পার্শ্ববর্তী দেশের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই দেশে অযথা এ বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।’
ডা: রফিক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘গত ১৬ বছরে বহু মানুষ শহীদ ও গুম হয়েছেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। আজ সেই গণতন্ত্রকে বিপন্ন করার জন্য একটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ও পেছনের শক্তি চিহ্নিত করা জরুরি।’
স্বাস্থ্যখাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। এ অর্জনের অন্যতম দাবিদার দেশের ফার্মাসিস্টরা। তবে দেশের মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ নিজস্ব পকেট থেকে বহন করতে হয়। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার যেমন রোগীর খরচ বাড়াচ্ছে, তেমনি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ভয়াবহ সঙ্কট হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এ সঙ্কট সমাধানে এ-গ্রেড ফার্মাসিস্টদের স্বাস্থ্যখাতে অন্তর্ভুক্ত করে শক্তিশালী স্বাস্থ্যনীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাস্থ্যখাতে অবদান স্মরণ করে বলেন, ‘তার আদর্শকে লালন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাতসহ প্রতিটি খাতে বিপ্লব ঘটবে, যেখানে ফার্মাসিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।’
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা: আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো: মনির হোসেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল বিএমইউ-এর পরিচালক অধ্যাপক ডা: সাইফুল্লাহ মুন্সী, কবি-কলামিস্ট ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ডা: শাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ডা: সোহেল রানা ও ডা: জাহাঙ্গীর হোসেন।