ড. ইউনূসকে টিউলিপের সাক্ষাতের চিঠি প্রসঙ্গে যা জানালেন প্রেস সচিব

টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ চেয়েছেন। সাক্ষাতে তিনি ‘একটি ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতে চান।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
টিউলিপ সিদ্দিক ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস
টিউলিপ সিদ্দিক ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস |সংগৃহীত

ব্রিটিশ এমপি ও পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে তার লন্ডন সফরকালে সাক্ষাৎ করতে চান বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন সরকার এখনো এ ধরনের কোনো চিঠি পায়নি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা এমন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি না, যা আমরা দেখিনি।’

তিনি রোববার (৮ জুন) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে একথা বলেন।

এর আগে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ চেয়েছেন। সাক্ষাতে তিনি ‘একটি ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করতে চান।

বাংলাদেশে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার জেরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মিনিস্টারের পদ ছাড়েন। এর আগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ তোলে, তিনি বা তার মা শেখ রেহানা ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা শহরে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট জমি নিয়েছেন। যদিও এসব অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন টিউলিপ।

ড. ইউনূস আগামী সোমবার (৯ জুন) যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন। চার দিনের এই সফরে তিনি রাজা চার্লসের সাথে সাক্ষাৎ এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সাথে বৈঠক করবেন।

খবরে দাবি করা হয়, এর ফাঁকে তার সাথে দেখা করার সুযোগ চেয়েছেন টিউলিপ।

উল্লেখ্য, গত মাসে বাংলাদেশে টিউলিপ সিদ্দিকের নামে বাংলাদেশের একটি আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

২০১৩ সালে তার খালা শেখ হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একটি পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরের সময় টিউলিপ সিদ্দিক মস্কোতে উপস্থিত ছিলেন।

গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, ওই সময় তিনি অনিয়মের সাথে জড়িত ছিলেন। তবে টিউলিপ সিদ্দিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তিনি সেখানে শুধুমাত্র সামাজিক কারণে ‌একজন ভ্রমণকারী হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন। উপদেষ্টা তার এই ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছেন।

গত মাসে, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের বিলাসবহুল লন্ডনের সম্পদ অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করে দেয়।

যার মালিক দুজন ব্যক্তি এবং তাদের সাথে টিউলিপ সিদ্দিকের খালার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বাংলাদেশে টানা ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রীর পদে ক্ষমতায় থাকাকালীন শেখ হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। গত সপ্তাহে তার অনুপস্থিতিতেই ঢাকায় এর বিচার শুরু হয়।