আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, রাষ্ট্র মেরামত, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ এসেছে সেটা মিস করলে আগামী কয়েক দশকেও এ সুযোগ আর পাওয়া যাবে না। কাজেই এ সুযোগ আমাদের কোনোভাবেই মিস করলে চলবে না।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘সরকারি অ্যাটর্নি সার্ভিস অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়ার ওপর এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘এত কষ্ট ও এত ত্যাগ কখনই বাংলাদেশের মানুষ সংস্কার ও রাষ্ট্র মেরামতের জন্য করেনি। শুধু বাংলাদেশে কেন সাব-কন্টিন্টের ইতিহাসেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমরা অনেক সময় অনেক সুযোগ পেয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর, ১৯৯১ সাল, ২০০৮ সালেও পেয়েছিলাম, কিন্তু কোনো সুযোগই আমরা সৎভাবে ব্যবহার করতে পারিনি। এবার আমার মনে হয়, এত ত্যাগ ও এত রক্ত ক্ষয়ের পর আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের যে সুযোগ এসেছে, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ এসেছে, এবার যদি আমরা সে সুযোগ মিস করি তাহলে আমার মনে হয় আগামী কয়েক দশকে এ সুযোগ আর পাবো না। কাজেই এ সুযোগ আমাদের কোনোভাবেই মিস করলে চলবে না।’
তিনি বলেন, অ্যাটর্নি সার্ভিস আইন করার জন্য আরো মতামত নেয়া হবে, আলোচনা হবে। সবার সহযোগিতায় একটা ভালো আইন করতে পারবো। আর আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে বর্তমান সরকারের আমলে যদি কিছু নিয়োগ অ্যাটর্নি সার্ভিসে দিয়ে যেতে পারি, সেই চেষ্টা করবো।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এসে ভালো ভালো অধ্যাদেশগুলো বাতিল করে দিয়েছে। এখন আমাদের পরবর্তী সরকারের জন্য এসব আইন বা সংস্কার বাতিল করা একটু কঠিন হবে। কারণ পরবর্তী সরকার আসবে আমাদের হাজার খানেক ছাত্র তরুণের রক্ত ও আরো অনেকের যে অঙ্গহানি হয়েছে এমন মানুষ ও জনমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রেক্ষিতে। তো পরবর্তী সরকারের পক্ষে এত সহজে সংস্কার আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা যাবে না বা সম্ভব হবে না।’
সভায় খসড়া অধ্যাদেশটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারা নিয়ে গৃহায়ণ, গণপূর্ত ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটরিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এহসানুল হক সমাজী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।