ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়া নিয়ে চলমান সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন এই অচলাবস্থার জন্য সদ্য বিদায়ী মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ‘দোসরদের’ দায়ী করেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের বিষয়ে আমরা আদালতে যে আবেদনটা করেছি সেখানে ফলাফলের যে বিষয়টি আছে সেটাকে আমরা অবৈধ বলছি। তবে আদালত এটির বিচার করে পরবর্তীতে ফলাফলের যে রায় দিয়েছে সেটিকে আমরা বৈধ বলছি।’
শপথ গ্রহণ করতে না পারায় কোনো রাজনৈতিক দল বা কাউকে দোষী মনে করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকেই দোষী মনে করছি না এমনকি এই সরকারকেও দোষী মনে করছি না। তবে আমরা এই বিষয়টার সমাধান চাচ্ছি। আর আমাদের কাছে মনে হচ্ছে ধানের শীষের প্রার্থীর প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। এই মামলাটি ছিল তাপস নুরুল হুদা নৌকার প্রার্থী তাদের বিরুদ্ধে। আর তাদের পক্ষ হয়ে কারা এই মামলায় বাধা দান করতে পারে। তাহলে তো তারা সেই দোসরদেরই লোক হয়ে গেল তাই না। আমি অন্য কাউকে দোষ দিব না আমি সব দোষ ওই দোসরদেরকে দেব।’
আন্দোলনের ফলে সিটি করপোরেশনের নাগরিক সেভাবে ব্যাহত হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইশরাক হোসেন বলেন, আন্দোলন করার কোনো ধরনের ঘোষণা বা নির্দেশনা আমি দেইনি। এখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে এ আন্দোলনটি করছে। এই আন্দোলনকে ঘিরে সিটি করপোরেশনের ভেতরে বা বাইরে কারা তালা দিয়েছে এ বিষয়ে আমি কোনো ধরনের অবগত নই। এখানে কেউ যদি খোবের থেকে কোন ধরনের কাজ করে থাকে সে বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোন নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রে বিশ্বাসী এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী আমরা সেই প্রক্রিয়াতেই সবকিছু পরিচালনা করছি। আমি যেহেতু এই আন্দোলনের কোনো নির্দেশনা দেই নাই তাই যারা আন্দোলন করছে আমি তাদের অবশ্যই বলব, এমন কিছু যাতে না করেন যেটা জনগণের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি তাদের আন্দোলন করার অধিকারটাকেও আমি না বলতে পারি না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সব জায়গায় আন্দোলন হচ্ছে, এখন তারা যদি তাদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করে আমি তাদের কিভাবে মানা করতে পারি না।
তবে তিনি আন্দোলনকারীদের প্রতি জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানান।
ইশরাক হোসেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টাসহ অন্য কোনো উপদেষ্টার সাথে তার কোনো বিরোধ নেই বলেও স্পষ্ট করেন। তিনি দ্রুত এই সঙ্কটের সমাধান চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।