প্রধান উপদেষ্টাকে ফারুক

নির্বাচন বানচালকারীরা আপনার কাছাকাছি রয়েছে

বাংলাদেশে যারা আন্দোলনে ছিলেন, হয়তো এখন কিছুটা দূরত্ব হতে পারে। আমি তাদের কাছে আবেদন জানাব, বাংলাদেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসেন।

অনলাইন প্রতিবেদক
সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন জয়নুল আবদিন ফারুক
সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন জয়নুল আবদিন ফারুক |নয়া দিগন্ত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, যারা আপনার ঘোষিত ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে বানচাল করার হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তারা এখান (প্রেস ক্লাব) থেকে পাঁচ শ’ ফুট দুরে রয়েছে। আপনার কাছাকাছি রয়েছে।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অপরাজেয় বাংলাদেশ নামক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

ফারুক বলেন, ‘হাসিনা এবং তার মেয়ে দিল্লিতে রয়েছে। এছাড়াও যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে, সেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও দিল্লিতে রয়েছে। আজকে যারা আমাদের রক্তকে রঞ্জিত করে বাংলাদেশকে তছনছ করে দিয়েছে, তাদের মধ্যে যারা দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত, তাদের মধ্যে দুয়েকজন ছাড়া এ সরকার কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। সচিবালয়ে এখনো আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা রয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রধান ইতোমধ্যে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। কিন্তু আপনার নির্বাচনের ট্রেনে যখন আমরা উঠলাম, নির্বাচনের ম্যাপ যখন ঘোষণা করলেন, এরা (আওয়ামী প্রেতাত্মা) আবার তড়িৎ গতিতে শেখ হাসিনার সাথে আলাপ করে প্রস্তুতি নিচ্ছে আপনার নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা আন্দোলনে ছিলেন, হয়তো এখন কিছুটা দূরত্ব হতে পারে। আমি তাদের কাছে আবেদন জানাব, বাংলাদেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসেন। হাসিনার মতো কথা বলে আমরা সরকারে যেতে চাই না। আমার নেতা তারেক রহমান বলেছেন, আমার ভোট আমি দেবো এবং সেই ভোটে আমি যদি জয়লাভ করতে পারি, তাহলে যারা ১৬ বছর নির্যাতন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলমান থাকবে।’

বিরোধী দলের সাবেক এই চিফ হুইপ বলেন, ‘শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়াকে দেশের মানুষ যেমনভাবে সততা এবং আপসহীনের জন্য ভালোবেসেছে, তেমনিভাবে ১৬ বছর ধরে আপনি (তারেক রহমান) গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য নেতা-কর্মীদের যেভাবে উজ্জীবিত করে রেখেছেন, সেজন্য মানুষ আপনাকে ভালোবাসে।’

এ সময় সমাবেশে অপরাজেয় বাংলাদেশের সহসভাপতি আলহাজ্ব বাদল সরকার, সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন সিরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।