মুহিউদ্দীন রাব্বানী

ইসরাইলের মানবাধিকার কর্মীদের আটকের ঘটনা কলঙ্কজনক

‘এই ঘটনা শুধু মানবাধিকারের ওপরই নয়, বরং গোটা মানবসভ্যতার বিবেকের ওপরও এক গভীর আঘাত।’

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ |সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেছেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী ও সংসদ সদস্যদের ওপর ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসন, জাহাজ জব্দ ও শত শত শান্তিপ্রিয় নাগরিককে অবৈধভাবে আটক করার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

শনিবার (৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘গাজার অবরুদ্ধ ও যুদ্ধপীড়িত মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদের এই শান্তিপূর্ণ অভিযাত্রা ছিল মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। কিন্তু ইসরাইল আন্তর্জাতিক পানিসীমায় জাহাজগুলো জব্দ করে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অধিকারকর্মীদের আটক করে আন্তর্জাতিক আইন, মানবতা ও নৈতিকতার চরম লঙ্ঘন করেছে।’

মাওলানা রাব্বানী বলেন, ‘এই ঘটনা শুধু মানবাধিকারের ওপরই নয়, বরং গোটা মানবসভ্যতার বিবেকের ওপরও এক গভীর আঘাত। সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ শত শত মানবতার সৈনিককে বন্দি করার ঘটনা ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে স্থান পাবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে দাবি করছি ১. ইসরাইল অবিলম্বে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সব আটক কর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিক এবং তাদের নিরাপদে নিজ নিজ দেশে ফিরিয়ে দিক। ২. জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যেন ইসরাইলের এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ৩. গাজার ওপর আরোপিত অবৈধ নৌ ও স্থল অবরোধ অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক, যাতে সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়। ৪. মুসলিম বিশ্ব, বিশেষত ওআইসি এবং মানবাধিকারপন্থী রাষ্ট্রগুলো যেন ঐক্যবদ্ধভাবে ইসরাইলের এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে।’

মুহিউদ্দীন রাব্বানী বলেন, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সাহসী কর্মীদের প্রতি আমরা গভীর সংহতি প্রকাশ করছি এবং গাজার নিপীড়িত জনগণের পাশে অবিচলভাবে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি। ইসরাইলের এই আগ্রাসন মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং মানবতার জয় অবশ্যম্ভাবী।’