বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য এবং আমাদের পরিকল্পনা অভিজ্ঞতা-সমৃদ্ধ। আমাদের অতীত কর্মকাণ্ডের আলোকে এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে; এটা কোনো কাল্পনিক কিছু না।
আজ সোমবার রাজধানীর কাওরান বাজার তিতাস কর্মচারী ইউনিয়নের নব কমিটি অভিষেক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যদি আমরা নারীদের কর্মক্ষেত্রে মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে পারি, সেটা অনেক বেশি উপকার। কিন্তু কোনো মতেই এমন ব্যবস্থা করা উচিত না, যাতে তাদের প্রয়োজন বা প্রাসঙ্গিকতা কমে যায়। তাই আমরা কোনো অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দেই না। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দেই, তা জনকল্যাণে এবং দেশের কল্যাণে।
নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের কথা বলার জন্য বলছি- দেশ আমার, আপনার, সবার। এই প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করেন, যদি দেশের ভালো চান, তাহলে প্রতিষ্ঠানের ভালো চাইতে হবে। আমার শরীর ভালো রাখতে হলে হাতের ভালো চাইতে হবে। আমার হাত যদি অবশ হয়ে যায়, শরীর ভালো থাকবে? না। আমার একটি পা যদি আহত হয়, শরীর ভালো থাকবে? না। তেমনি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ভালো না চলে, দেশ ভালো চলবে না। আর দেশকে ভালোভাবে চালাতে হলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভালোভাবে চলতে হবে। এই ব্যাপারে দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে যদি আপনারা কেউ বিপদে পড়েন, পরিষ্কার কথা- আপনাদের অবহেলা বা দুর্নীতির কারণে বিপদে পড়লে আমরা আপনাদের পাশে নেই।
তিনি বলেন, ন্যায্য পথে থাকবেন, ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আমরা সর্বদা, সর্বক্ষেত্রে আপনাদের পাশে থাকব ইনশা আল্লাহ। এবং আপনাদের দাবি আদায়ের জন্য যা কিছু করা দরকার, আমরা করব। তবে আমাদের লজ্জিত করবেন না। এমন কোনো কাজের জন্য অনুরোধ করতে বলবেন না, যেটা বলতে আমরা লজ্জা পাই। ‘স্যার, এটা ভুল হয়ে গেছে, মাফ করে দিন’- এটা বলতে পারেন, কিন্তু দোষ ঢাকা দেয়ার মতো অনুরোধ করতে বলবেন না।



