বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি বর্ষিয়ান শ্রমিক নেতা অধ্যাপক হারুনুর রশীদ খান বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বিজয় করতে হলে পরিবহন ও নৌ পরিবহন সেক্টরকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে। এসব সেক্টরের শ্রমিকদের কাছে দ্বীনের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের অঞ্চল সভাপতি ও সেক্রেটারি দ্বি-মাসিক বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কবির আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমানের পরিচালনায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। মহাগ্রন্থ আল কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘পরিবহন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ইসলামী আন্দোলন বিজয় করতে হলে পরিবহন ও নৌ পরিবহন সেক্টরকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরিবহন সেক্টরের সকল শ্রমিকদের নিকট আমাদের দ্বীনের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। শ্রমিকদের পরিবারকে সেবা ও সহযোগিতা নিয়ে বাসায় বাসায় যেতে হবে।’
তিনি তার বক্তব্যে সরকারের কাছে নিম্নোক্ত দাবিগুলো পেশ করেন-
১. জামায়াতের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২. পরিবহন সেক্টরে সকল প্রকার নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
৩. পরিবহন মালিক কর্তৃক শ্রমিকদের কথায় কথায় ঠুনকো সমস্যা দেখিয়ে শ্রমিক ছাঁটাই করা বন্ধ করতে হবে।
৪. পরিবহন সেক্টরের শ্রমিকদের কাছ থেকে তাদের কথা বলে যে চাঁদা নেয়া হয় তা শ্রমিকদের কল্যাণেই ব্যয় করতে হবে।
৫. বিগত সরকারের আমলে যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তার দ্রুত বিচার করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘বাংলাদেশে শ্রমিক জনশক্তিকে ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র গঠনের মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে।’
সভাপতি বক্তব্যে কবির আহমদ শ্রমিক-মালিক ঐক্য কর্তৃক ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের সাথে বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন একাত্মতা পোষণ করে বলেন, ‘মালিকদের দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুস সবুর, ইদ্রিস আলী, সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আতিকুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাশার, অফিস সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও অঞ্চলের সভাপতি ও সম্পাদকরা। বিজ্ঞপ্তি