রিজভী

নির্বাচন বিলম্বের ফলে অগণতান্ত্রিক শক্তির পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আওয়াজ পাচ্ছি

তাদের কণ্ঠস্বর ক্রমশ বাড়ছে! অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে হিংস্র বক্তব্য প্রচার হচ্ছে, লকডাউনের হুমকি দেয়া হচ্ছে; বিদেশ থেকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে- এসবের ছায়া দৃশ্যমান।

অনলাইন প্রতিবেদক
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী |নয়া দিগন্ত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো কারণ নেই। বিলম্বের ফলে আমরা আজ অগণতান্ত্রিক শক্তির পুনরুজ্জীবিত হওয়ার আওয়াজ পাচ্ছি। তাদের কণ্ঠস্বর ক্রমশ বাড়ছে! অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে হিংস্র বক্তব্য প্রচার হচ্ছে, লকডাউনের হুমকি দেয়া হচ্ছে; বিদেশ থেকে আর্থিক ও রাজনৈতিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে- এসবের ছায়া দৃশ্যমান। টাকা-পয়সার অভাব নেই, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা পাচার করেছে; সেই টাকা দিয়ে বিশৃঙ্খলা করা সহজ।

আজ বুধবার শিল্পকলা একাডেমীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘জিয়াউর রহমান আর্কাইভ’ প্রকাশনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, লক্ষ্য করছি যে কিছু মিডিয়া কিছু ঘটনার প্রচার-প্রসার করে, নিষিদ্ধ ঘোষিত দল তথা তাদের হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে ফলাও করে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অনেক আন্দোলনশক্তি সমর্থন করলেও আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কখনো কখনো সরকারের ভেতরেই দুয়েকটা ‘ভূত’ আছে; আমরা বার বার এই কথা বলেছি।

তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের নামে কিংবা স্বাধীনতার নামে রাজনীতি করে স্বাধীনতার মূল স্পিরিটকে ক্ষুণ্ণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণ ও সৈনিকদের সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া ছিল ৭ নভেম্বরের বিপ্লব। এই বিপ্লবের মহানায়কের ভূমিকায় ছিলেন জিয়াউর রহমান। যখনই আমরা সঙ্কটে পড়ি, ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের জুলাই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান ছিল এসব অনুভূতিরই প্রকাশ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কেউ কেউ বলছে, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। আগে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে আইন প্রণয়ন ও সংসদীয় প্রস্তুতি প্রয়োজন; পরে পার্লামেন্ট রচিত হলে আইনগত প্রক্রিয়া সহজে বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু পার্লামেন্ট নির্বাচন আগে না হলে আইনকরণ কিভাবে সম্পূর্ণ হবে, প্রশ্ন রেখেছেন রিজভী।