বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে। তা না হলে যেসব দেশে বিপ্লব পরবর্তী ডিসঅর্ডার হয়েছে, বাংলাদেশেও সেই আশঙ্কা থাকবে।
আজ রোববার গুলশান হোটেল লেকশোর সিপিডি সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, সবাই মন খুলে কথা বলতে পারছি। এটা কিন্তু দেশ ও জনগণের জন্য মুক্ত মত প্রকাশের সৌন্দর্য। এই কথা বলার সুযোগ অব্যাহত রাখা গেলে অনেক সমস্যার সমাধান সহজ হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচার পলায়নের মাধ্যমে দেশের জনগণের মনোজগতে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদরা যদি ধারণ করতে না পারেন, তাহলে সেই দল ও রাজনীতিবিদদের দরকার আছে বলে মনে করি না।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। সাংঘর্ষিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই পরিবর্তন সম্ভব না হলে শত সংস্কার করে কোনো লাভ হবে না। আমাদের মধ্যে ফাউন্ডেশনাল চেঞ্জ আনতে হবে।
বিএনপি’র এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিভিন্ন দেশের বিপ্লব পরবর্তী ইতিহাস বলে, বিপ্লব পরবর্তী যারা দ্রুত গণতান্ত্রিক পন্থায় ফিরতে পেরেছে, তারা পরবর্তীতে ভালো করেছে। আর যেসব দেশ দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে পারেনি তারা গৃহযুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্য়ের দিকে গেছে।
আমীর খসরু বলেন, মানি লন্ডারিং বন্ধ হয়েছে। যারা করতো তারা পালিয়ে গেছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এক্সপোর্ট ইনকাম বেড়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। বিনিময় হার স্থিতিশীল হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত থাকতে হবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা থাকতে হবে। এজন্য ইলেকশন থাকতে হবে। রাজনীতিবিদদের মানুষের কাছে যেতে হবে। আমরা দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেবো।