বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান উত্তরা মাইলস্টোন স্কুলের একটি দোতলা ভবনে বিধ্বস্তের ঘটনা শিক্ষার্থীদের উদ্ধার সহায়তা, জটলা নিরসন প্রচেষ্টা এবং বিশেষ করে রক্ত সংগ্রহের নেতাকর্মীদের তালিকা করা বিষয়টি প্রশংসা কুড়াচ্ছে ছাত্রদল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্ধারকাজে সহায়তা, প্রয়োজনে রক্ত সংগ্রহ, জরুরি পরিবহন, অক্সিজেন ও ওষুধ সরবরাহসহ যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে তাৎক্ষণিক ছাত্রদলের নিকটবর্তী ইউনিটসমূহের নেতৃবৃন্দকে দিয়ে মেডিক্যাল টিম গঠন করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ।
জানা গেছে, বিমান দুর্ঘটনা পর থেকে সংগঠনটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা অংশ নেয়। যে যার মতো পেয়েছে সহায়তার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তাৎক্ষণিক মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়। টিমের সমন্বয়কারী ঘোষণা করা হয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়ালকে। টিমে কাজ করছেন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ডা: সাইফুল আলম বাদশা, যুগ্ম সম্পাদক ডা: এ এস এম রাকিবুল ইসলাম আকাশ, সহ সাধারণ সম্পাদক ডা: এরফান হোসেন নিবিড়।
'' বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স, রক্ত সংগ্রহ করা, ব্লাড ডোনার পাঠানোর ব্যবস্থা, উৎসুক জনতার জটলা নিরসনে কাজ করেছে নেতাকর্মীরা ' জানায় ছাত্রদল।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, উদ্ধার তৎপরতা ঢাকা উত্তর ছাত্রদল গিয়েছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা কাজে ছিল। এজন্য উদ্ধার তৎপরতার আমাদের সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল না। লোকালি তাৎক্ষণিকভাবে অনেক ছাত্রদল নেতারা কাজ করেছে।
তিনি যোগ করে বলেন, মেইনলি ব্লাড বা রক্ত কালেকশন এটা ছিল মূল। আর দ্বিতীয়ত ছিল এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা। পাঁচটি এম্বুলেন্স আমরা ম্যানেজ করতে পেরেছিলাম। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ড্যাবের ডাক্তার রয়েছেন এবং আমাদের ছাত্রদলের ডাক্তার রয়েছে। উত্তর আধুনিক মেডিকেল কলেজে, মনসুর মেডিকেল কলেজে ছাত্রদল কমিটি কাজ করেছে। আমি নিজেও গিয়েছি উত্তরা কলেজে, আমাদের সব ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের প্রেসিডেন্টসহ সব ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন। তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে ব্লাড কানেকশন। আমরা সহযোগিতা করেছি। আর সর্বশেষ শৃঙ্খলা রক্ষায় বার্ন ইউনিটের সামনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ইউনিটের সামনে কাজ করেছি।
ছাত্রদলের সহ সভাপতি ও মেডিক্যাল টিমের সমন্বয়কারী ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়াল বলেন, গতকাল কয়েকটি এম্বুলেন্স নিয়ে বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কাজ করেছি। আমরা ১৫-১৬ জন আমরা এদেরকে রোগী বলবো না, বলব আমাদের ভাইবোনকে আমরা উদ্ধার করেছি। ব্লাড ডোনারদেরকে আমরা নিয়ে বার্নে গিয়েছিলাম। কয়েকজনের কাছ থেকে ব্লাড সংরক্ষণ করা গেছে।
তিনি বলেন, ছাত্রদল আলাদা ব্লাডের জন্য আলাদা তালিকা করেছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদলের নেতৃত্বে আলাদা করে তালিকা করা হয়েছে। আমাদের ছাত্রদল উত্তরা মেডিক্যালে আর বার্ন ইনস্টিটিউটে সামনে যাতে কোনো যানজট সৃষ্টি না হয় সেটার জন্য কাজ করেছে।
'চিকিৎসা এবং অসচ্ছল পরিবারের প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতা' যতটুক করা যায় চেষ্টা করবে ছাত্রদল- এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ডা: তৌহিদুর রহমান আউয়াল।
তিনি বলেন, নেগেটিভ ব্লাডের ব্যাপারে আমাদের তালিকা করেছে ছাত্রদল। যেকোনো সময় মেডিক্যালগুলোতে যোগযোগ হচ্ছে। প্রয়োজন যখন হহবে তাৎক্ষণিকভাবে ব্লাড ডোনার পাঠিয়ে দেবো ইনশা আল্লাহ।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম বলেন, আমরা ব্লাড ডোনার সংগ্রহ করছি, খোঁজ খবর নিচ্ছি, রক্তের প্রয়োজন হলেই তাদেরকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। দুর্ঘটনা এলাকায় উৎসুক জনতার জটলা নিরসনে ভূমিকা বেশি রেখেছে উত্তর মহানগর ছাত্রদল।