জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। তার মাশুল দিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। চট্টগ্রামে নদীর নিচে টানেলের জন্য প্রতি দিন আমাদের লক্ষাধিক টাকা লস বহন করতে হচ্ছে। তিন বছরের মাথায় মেট্রোরেলের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। বিয়ারিং প্যাড খুলে পরে নিহত হয় পথচারি। গুলি আর আগুনের সাথে টাকা পাচারের উন্নয়ন প্রকল্প দিয়েও মানুষ মারে শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার ৭ দফা দাবিতে সাংঠনিক জেলাসমূহে বিক্ষোভ মিছিল করে জাগপা। পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সোহরাওয়ার্দী পার্কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রাশেদ প্রধান এ কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, যারা জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি চায় না, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজন করে জুলাই সনদকে গৌণ করতে চায়, কথায় কথায় মুজিববাদী ৭২ এর সংবিধানের দোহাই দেয়, তারা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মতো নতুন স্বৈরতন্ত্র সৃষ্টি করতে চায়। শেখ হাসিনা আর সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ কোনো দিন ভাবেনি যে তাদের এরকম পলাতক দশা হবে। মিথ্যে অহংকারে তারা নিমজ্জিত ছিল। ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই যারা নিজেদের ক্ষমতাসীন মনে করে, এখনই প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, মিষ্টি কথার আড়ালে যারা অহঙ্কারে ডুবে আছে, তাদেরও একদিন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তের সাথে বেইমানি করার জন্য বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
জাগপা মুখপাত্র বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করতে হবে। হিন্দুস্তানের দালাল জি এম কাদেরের কথায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। ৫ আগস্টের পর হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ হিন্দুস্তানের কথায় চলে না। দেশের মালিক দেশের জনগণ, সিদ্ধান্ত নিবে দেশের জনগণ।
এদিকে জাগপা’র ৭ দফা দাবিতে সাংগঠনিক জেলাসমূহে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেয় দিনাজপুরে জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, নরসিংদীতে প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো: শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামে প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এম এম আনাছ, বগুড়ায় প্রেসিডিয়াম সদস্য মো: শামীম আখতার পাইলট, গাইবান্ধায় সাংঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, রংপুরে জেলা সমন্বয়ক মাছুম বিল্লাহ, সাতক্ষীরায় জেলা সমন্বয়ক আতাউর রহমান ফারুকী, জামালপুরে জেলা সমন্বয়ক মো: শফিক মিয়া, ঢাকায় জেলা সহ-সভাপতি মো: ডালিম হোসেন, নীলফামারীতে জেলা সহ-সমন্বয়ক সাহাবুউদ্দিন সাবু প্রমুখ।



