বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো: তাহের বলেছেন, জামায়াতে ইসলামের আমির ডা: শফিকুর রহমান সুস্থ হয়েছেন। যার কারণে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন। ওপেন হার্ট সার্জারি একটা বড় ধরনের অপারেশন। এটা রিকভারি হতে কিছুটা সময় লাগে। আমরা উনাকে এখন বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। উনার সেখানে আরো দুই সপ্তাহ রেস্ট প্রয়োজন হবে। তিন সপ্তাহ পরে উনি জনসম্মুখে আসবেন। আপনারা দোয়া করবেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার কিছু সময় পরে জামায়াত আমির গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে বের হন। কিছু সময় পর তিনি বাসায় পৌঁছান।
দুপুর ১২টায় ইউনাইটেড হাসপাতালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আবদুল্লাহ তাহের।
ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শহিদ আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গত ২ তারিখে উনার অপারেশন হয়েছে। ২-৫ তারিখ পর্যন্ত কার্ডিয়াক আইসিইউতে ছিলেন। ৫ তারিখে ওনার টিউবগুলো খুলে নিয়েছি। উনি নিজে হেঁটেছেন। তারপর উনাকে আমরা কেবিনে নিয়ে গেছি। গত ৫ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ১১টা) উনি সেখানেই আছেন। ডে বাই ডে উনি প্রগ্রেস করছেন। উনার প্রগ্রেস নিয়ে আমরা খুবই হ্যাপি। আমরা আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে উনি নরমাল জীবনে ফিরতে পারবেন।
এর আগে গত ২ আগস্ট বাইপাস সার্জারির জন্য শফিকুর রহমানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার হার্টে পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ে।
গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শফিকুর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা সে দিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় বড় কোনো জটিলতা পাননি, তবে ধারণা করেছিলেন তিনি ডিহাইড্রেশনে ভুগেছেন।
ওই ঘটনার পর দুই দিনের বিশ্রাম শেষে তিনি রংপুর, খুলনা, মৌলভীবাজারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন। এরপর আবারও অসুস্থ হয়ে গত ৩০ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময় পরীক্ষায় হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। এরপর বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।