বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. সাইফুল আলম খান মিলন বলেছেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের পল্টন হত্যাযজ্ঞ নিছক কোনো হত্যাকাণ্ড ছিলো না বরং তা ছিলো দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’
আজ বুধবার রাজধানীর মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে শিল্পাঞ্চল থানা জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য আগামী নির্বাচনের দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে সকল ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান ডা: সাইফুল আলম খান মিলন।
থানা আমির ও সাবেক ছাত্রনেতা কলিমুল্লাহর সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য হেমায়েত হোসেন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার নো’মান আহমেদী, শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ, থানা নায়েবে আমির মোহাম্মদ উল্লাহ ভূইয়া হারুন ও সেক্রেটারি নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহিদ প্রমূখ।
সাইফুল আলম খান মিলন বলেন, ‘দীর্ঘ অপশাসন-দুঃশাসনের পর জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি মাফিয়াতন্ত্রের জগদ্দল পাথর থেকে মুক্ত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিময় বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি। তাই এ সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতি গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দুর্নীতি মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে আল্লাহ ভীরু নেতৃত্বের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিতে হবে। যারা কোনোভাবেই আমানতের খেয়ানত করবে না।’
তিনি বলেন, ‘একটি দল সবকিছুতেই বিরোধীতার নীতি গ্রহণ করেছে। তারা কোন সংস্কার মানে না বরং ইনিয়ে-বিনিয়ে পুরাতন বৃত্তেই আটকে থাকতে চায়। তারা জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও গণভোট মানতে চায় না। মূলত, যারা গণভোটের বিরোধীতা করে তারা গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক শাসনের প্রতিপক্ষ। মূলত, জামায়াত যা চায় তা বাস্তবায়ন হয়। অতীতে তারা কেয়ারটেকার সরকারের বিরোধীতা করলেও তা সাংবিধানিক ভিত্তি পেয়েছিলো। তাই জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও গণভোটের দাবিও বাস্তবায়িত হবে- ইনশাআল্লাহ।’
তিনি নির্বাচনে অবৈধ অর্থের ব্যবহার ও মাস্তানী বন্ধ করতে আগামী নির্বাচনে পিআর পদ্ধতিতে করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘১/১১ কথিত জরুরি সরকারের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি ছিলো না বরং সে সরকার অদ্ভূত প্রকৃতির বেআইনী সরকার। এ সরকারের কাজই ছিলো আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন।’



