‘দেশে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রয়োজন নাই’

আওয়ামী জাহেলিয়াতে আয়নাঘর, গুম, খুন, হামলা, মামলা, ধর্ষণ, নির্যাতন, ভোটাধিকার হরণসহ অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের সময়ে নিশ্চুপ জাতিসঙ্ঘ এখন বাংলাদেশে মানবাধিকার কার্যালয় দিয়ে কি করতে চায়?

অনলাইন প্রতিবেদক
জাগপা’র গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা
জাগপা’র গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা |নয়া দিগন্ত

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন প্রধান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনামুক্ত বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রয়োজন নাই। আওয়ামী জাহেলিয়াতে আয়নাঘর, গুম, খুন, হামলা, মামলা, ধর্ষণ, নির্যাতন, ভোটাধিকার হরণসহ অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের সময়ে নিশ্চুপ জাতিসঙ্ঘ এখন বাংলাদেশে মানবাধিকার কার্যালয় দিয়ে কি করতে চায়? সমকামিতা বৈধতা দেয়া আর ট্রান্সজেন্ডারকে স্বীকৃতি দেয়ার কার্যক্রমের জন্য তাদের মানবাধিকার কার্যালয় আমাদের প্রয়োজন নাই।

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি নিয়ে দেশব্যাপী গণসংযোগ এবং আগস্ট মাসের ৬ তারিখ খুনি হাসিনাকে ফেরতের দাবিতে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাগপা সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। তার অংশ হিসেবে মাসব্যাপী কর্মসূচির ১৫তম দিন মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নীলফামারী জেলার চৌরঙ্গী মোড়, আদালত চত্বর, আনন্দবাবুর পুল এলাকায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করেছে দলটি।

জাগপা নেতারা বলেন, ‘বছরের পর বছর বাংলাদেশের ওপরে ভারতীয় আধিপত্যবাদ নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নাই। ফিলিস্তিনের ওপরে ইসরাইলের পাশবিক নির্যাতনে ভূমিকা নাই। একচোখা সংগঠন জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পশ্চিমাদের রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় খোলার উদ্দেশ্য কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে দেশবাসী অবগত নয়, একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।’

পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন নীলফামারী জেলা জাগপা সভাপতি জাকিউল আলম সাকি, সাংঠনিক সম্পাদক শাহাবুর রহমান সাবু, জাগপা নেতা আজিজুল হক, নাসির উদ্দিন, আনারুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম বাবু, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।