আমরা এখনো পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি : রিজভী

হিউম্যান রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতন্ত্রে উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনলাইন প্রতিবেদক
বক্তব্য রাখছেন অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী
বক্তব্য রাখছেন অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশে এখনো পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে গণতন্ত্র কখনোই শক্তিশালী হবে না।

রোববার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে হিউম্যান রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতন্ত্রে উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা এখনো পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। স্বাধীনতার পর থেকে গণতন্ত্রের যে ধারাবাহিকতা ছিল, সেটা আমরা রক্ষা করতে পারিনি। এখন আমাদেরকে সেটা করতে হবে। এখন যদি কোনো ত্রুটি-বিচ্যুত হয়, তাহলে এই দেশ এবং আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে পড়বো যে— আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংকটের মুখে পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘দেশ কিভাবে চলবে, সেই শাসন নিশ্চিত করবে জনগণ। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণই ঠিক করবে তাদের প্রতিনিধি কে হবে। সেই নির্বাচনটা হতে হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। এটা না হলে গণতন্ত্র কখনোই শক্তিশালী হবে না।’

আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দিয়ে বক্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একজন বক্তা বক্তব্য রাখলেন, কিন্তু আরেকজন সেটা মানতে পারলো না। পরে সে এআই দিয়ে সেটাকে বিকৃত করে, অশ্লীল ও অশ্রাব্য কথা ব্যবহার করা হয়। আপাত দৃষ্টিতে এটা ফানি মনে হলেও, কিন্তু এটা কিন্তু গণতন্ত্র না। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আরেকটা আক্রমণ। সমাজ ও রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এআই ব্যবহার করা হচ্ছে।’

অপর একটি রাজনৈতিক দলের একজন নেতার বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, ‘আজকে একটি রাজনৈতিক দলের একজন বললেন যে, তাদের কথায় প্রশাসন উঠবে ও বসবে। এটা গণতন্ত্রের কোনো বৈশিষ্ট্যের মধ্যে নেই। এই কথার মাধ্যমে আপনি তো আরেকটা দানবীয় শাসন তৈরির ইঙ্গিত দিয়েছেন। আরেকটা শেখ হাসিনা এবং আরেকটা ফ্যাসিবাদ তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। শেখ হাসিনা পুলিশকে বানিয়েছে ছাত্রলীগ, র‍্যাবকে বানিয়েছে যুবলীগ এবং তারা গুম-খুন করে আনন্দিত হতো। যারা ক্যাডারভিত্তিক দল করে, তারা প্রশাসন, বিচার বিভাগ প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ক্যাডার বসানোর চেষ্টা করে। এটাই হয় গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেছেন ঢাকা কলেজের প্রফেসর আনোয়ার মাহমুদ।

উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেকসহ আরো অনেকে।