নাহিদের ফেসবুক পোস্টের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন সাদিক কায়েম

“বলতে চাই, একটা প্রমাণ দেখাক সাদিক কায়েম সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে এক বছরে কারো থেকে একটা পয়সা নিয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, সেটা কেউ বলতে পারবে না।”

অনলাইন প্রতিবেদক
নাহিদের ফেসবুক পোস্টের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন সাদিক কায়েম
নাহিদের ফেসবুক পোস্টের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন সাদিক কায়েম

'সাদিক কায়েম বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিল না। কিন্তু ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় সে ব্যবহার করেছে' জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের এমন অভিযোগের জবাব দিয়েছেন জুলাইযোদ্ধা সাদিক কায়েম।

আজ গণমাধ্যমকে এ জবাব দেন সাদিক কায়েম।

সাদিক কায়েম বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমরা কি কি করছি বলতে চাই না। ইতিহাসের দায় থেকে জাতি জানবে। বলতে চাই, এখানে শহীদরা আমাদেরকে রাস্তা দেখিয়েছে। আমাদের শহীদরা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর।

হতাশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শহীদরা তাদের জীবন উৎসর্গ করে পুরো জাতিকে নতুনভাবে জাগ্রত করেছে। যখন বলেন, "আমরা এটা করছি, ওটা করছি" । ঠিক আছে। আর বাকি সবাইকে ডিনাই করে দেয়া হয় এবং বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা, বিভিন্ন ধরনের ব্লেম দেয়া দেয়া হচ্ছে। এটা খুবই অপ্রত্যাশিত। এটাতে আমরা খুব ব্যথিত হচ্ছি।

তিনি বলেন, তারপরও আমরা আমরা বলতে চাই জুলাইয়ের যে আকাঙ্ক্ষা শহীদদের যে স্পিড সেই স্পিড বাস্তবায়ন না হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব। যদি প্রয়োজনে জীবন দিতে হয় সে জায়গায় আমরা জীবন দিব। কিন্তু কেউ যদি এখানে আবার এই জুলাই নিয়ে ব্যবসা করতে চায়, চেতনার রাজনীতি করতে চায়, জুলাইকে ভিন্নঘাতে নিয়ে যেতে চায়। তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই, আন্দোলন, সংগ্রাম জারি রাখবো ইনশাআল্লাহ।

সাদিক কায়েম বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সব জায়গায় বলেছি, জুলাই বিপ্লবের যদি কোনো মাস্টারমাইন্ড থাকে, জুলাই বিপ্লবের যদি কোনো নায়ক থাকে, তারা হচ্ছে- আমাদের শহীদরা এবং আমাদের গাজীরা। তারা আমাদেরকে রাস্তা দেখিয়েছে, তাদের স্যাক্রিফাইসের মাধ্যমে আজকে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। এবং এই জুলাই বিপ্লবটা ছিল এদেশের আমজনতা ও ছাত্রজনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ। এখানে সকল মতের মানুষ আমরা প্রত্যেকের পরিচয় ভুলে গিয়ে কমন গোল নিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার জন্য একত্রিত হয়েছি।

তিনি বলেন, বলা হচ্ছে, "আমরা সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফায়দা লুটে নিচ্ছি"। বলতে চাই, একটা প্রমাণ দেখাক সাদিক কায়েম সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে এক বছরে কারো থেকে একটা পয়সা নিয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, সেটা কেউ বলতে পারবে না।
‘‘এখন পর্যন্ত আমি কখনো কোনো জায়গায় গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কোনো কিছু দখল করা, কোনো কিছু আত্মসাৎ করা, এ ধরনের একটা সিঙ্গেল ডকুমেন্ট কেউ দেখাতে পারবেন না।’’

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময়ে যখন আমাদের মূল সারির সমন্বয়ক ছিল। যখন তাদের অনুপস্থিত ছিল ১৯ তারিখ থেকে একদম ২ আগস্ট পর্যন্ত। ওই সময় আমরা কিছু কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। ৯ দফা ফরমেশন করা এরপর হচ্ছে আমাদের সেকেন্ড লেয়ারের সমন্বয়ক যারা আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করা। তাদেরকে সেফ হোমে রাখার ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি সকল মিডিয়া হাউসে এই ৯ দফা পৌঁছে দেয়া এবং এই ১৯ তারিখের পর থেকে একদম ১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের কর্মসূচি প্রণয়ন করা। এবং সকল অংশীজনদের সাথে আলাপ করা। দেশী-বিদেশী অংশীজন বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন মানবাধিকারকর্মী সবার সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি এবং সবাই আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। এখন এই ঘটনাগুলো যদি আমরা যদি জাতির সামনে না আনি তাহলে এর মাধ্যমে একটা হিস্ট্রিক্যাল করাপশন হবে। এর হাজারো ঘটনা আছে এর মধ্যে এগুলো কয়েকটা ঘটনা। ইতিহাসের দায় থেকে আমরা আশা করছি সকল ঘটনাগুলো জাতি জানবে ইনশাআল্লাহ ।

শিবির নেতা সাদিক কায়েম বলেন, ৫ আগস্টের পরে দেখতে পেয়েছি, ক্রুশিয়াল টাইম ১৯ তারিখ থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত যারা অনেকে গুমের নাটক করেছিল, অনেকে আত্মগোপনে ছিল অথবা অনেকে ওই সময় আন্দোলন ম্যানেজ করে, ক্যাম্পাস খুলে আন্দোলন কথা বলেছিল, সেই পক্ষকে এখন ৫ আগস্টের পর দেখা যাচ্ছে, তারা মহাবিপ্লবী হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর পুরো আগস্ট মাস সেপ্টেম্বর মাস অক্টোবর মাস জুড়ে আমরা আহত পরিবার এবং শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করেছি। দেখা যাচ্ছিল তাদের ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা হচ্ছিল না। তাদের ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করা, তাদের ফ্যামিলির পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এই কাজগুলো তখন আমরা করেছি। কিন্তু ওই সময়ে সমন্বয়ক পরিচযয়ে যারা আছেন তারা দেখছিলাম দখলদারিতে ব্যস্ত। এই পুরা জুলাই আন্দোলনে সবার অংশীজন ছিল- প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের মাদরাসা শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য যে অংশ রাজনৈতিক দলগুলোর। তাদেরকে কর্নার করে দেয়া হয়েছিল। এ রকম অসংখ্য ঘটনায় আমরা সবাই জানি। এটা খুবই অপ্রত্যাশিত যখন আমরা দেখতে পাই আমাদের যারা জুলাইয়ের যোদ্ধা যখন তারা এ ধরনের বিভাজনমূলক আচরণ করে এবং তারা ক্রেডিটটাকে শুধুমাত্র একটা পক্ষের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সুতরাং এর মাধ্যমে একটা বড় সংকট তৈরি হয় এবং এটা শহীদদের সাথে একটা সুস্পষ্ট গাদ্দারী হয়। আমরা আশা করব এই জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। আমাদের মধ্যে মতের অমিল থাকবে কিন্তু বাংলাদেশ প্রশ্নে জুলাইয়ের প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করব। সেই প্রত্যাশাটা আমার সবার প্রতি থাকবে।

জুলাই আন্দোলনে সাদিক কায়েমের ভূমিকা তুলে ধরে এক স্ট্যাটাসে প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান লিখেছেন, জুলাই আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে ছিলো, এবং ৫ আগস্ট ২০২৪ এর পর এখনো পর্যন্ত যেই ছেলেটার নামে একটাও অসততার অভিযোগ আসেনি, তাঁর নাম Md Abu Shadik (মো: আবু সাদিক) অর্থাৎ সাদিক কায়েম। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ও তাঁর শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে অনেকে মুখরোচক চটকদার আলাপ তৈরি করবে। কিন্তু এসব আলাপ তৈরি করে কি নিজেদের গোপনতম সত্য লুকানো সম্ভব হবে? প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।

নাহিদ ইসলামের প্রতি প্রশ্ন রাখেন জুলকার নাইন সায়ের।

তাহলো, বিপ্লবের আগে ছাত্রশক্তির ঢাবি'তে লোকবল কত ছিলো?

দেশের অন্য কোন-কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কমিটি ছিল?

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের নাহিদ ইসলাম ৫ আগস্টের পূর্বে চিনতো কিনা?

কেবল মাত্র ছাত্র শক্তির বিপ্লব সংগঠিত করার মতো সাংগঠনিক কাঠামো ছিলো কিনা?

গুটিকয়েক সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী না জানালে সাদেক কায়েমের অবদানের কথা নাহিদ ইসলামরা জাতিকে জানাতেন কিনা?

এনসিপি আহবায়ক নাহিদ ইসলাম তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সাদিক কায়েমকে নিয়ে নেতিবাচক স্ট্যাটাস দেন। তা নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-

১। বিএনপি মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল সম্প্রতি একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন জাতীয় সরকারের কোনো প্রস্তাবনা ছাত্রদের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া হয় নাই। তারা অন্য মাধ্যমে এ প্রস্তাবনা পেয়েছিল। এই বক্তব্যটি সত্য নয়। ৫ই অগাস্ট রাতের প্রেস ব্রিফিং এ আমরা বলেছিলাম আমরা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার করতে চাই। সেই প্রেস ব্রিফিং এর পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের সাথে আমাদের ভার্চুয়াল মিটিং হয় সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার ও নতুন সংবিধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারেক রহমান এ প্রস্তাবে সম্মত হননি এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সাজেশন দেন। আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা বলি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে।

৭ই আগস্ট ভোরবেলা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাসায় আমরা উনার সাথে অন্তর্বর্তী সরকার ও উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে আলোচনা করি। উপদেষ্টা পরিষদ শপথ নেবার আগে জনাব তারেক রহমানের সাথে আরেকটি মিটিং এ প্রস্তাবিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ নিয়ে আলোচনা/পর্যালোচনা হয়।

২। শিবির নেতা সাদিক কায়েম সম্প্রতি একটা টকশোতে বলেছেন ছাত্রশক্তির গঠনপ্রক্রিয়ায় শিবির যুক্ত ছিল, শিবিরের ইনস্ট্রাকশনে আমরা কাজ করতাম। এটা মিথ্যাচার। 'গুরুবার আড্ডা' পাঠচক্রের সাথে জড়িত একটা অংশ এবং ঢাবি ছাত্র অধিকার থেকে পদত্যাগ করা একটা অংশ মিলে ছাত্রশক্তি গঠিত হয়। সাথে জাবির একটা স্টাডি সার্কেলও যুক্ত হয়। একটা নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুবার আড্ডা পাঠচক্রে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করা হয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসে আট বছর রাজনীতি করছি। ফলে প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সব সংগঠন ও নেতৃত্বকে আমরা চিনতাম এবং সকল পক্ষের সাথেই আমাদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক ছিল। সেই কারণে ঢাবি শিবিরের সাথেও যোগাযোগ ছিল। যোগাযোগ, সম্পর্ক বা কখনো সহোযোগিতা করা মানে এই না যে তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল।

দ্বিতীয়ত, সাদিক কায়েম বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সমন্বয়ক ছিলনা। কিন্তু ৫ই অগাস্ট থেকে এই পরিচয় সে ব্যবহার করেছে। অভ্যুত্থানে শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাদিক কাইয়ুমকে প্রেস ব্রিফিং এ বসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সাদিক কাইয়ুমরা অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ঢালাও প্রচারণা করেছে এই অভ্যুত্থান ঢাবি শিবিরই নেতৃত্ব দিসে, আমরা সামনে শুধু পোস্টার ছিলাম। অভ্যুত্থানে শিবিরের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করে নাই। কিন্তু এই অভ্যুত্থান শিবিরের একক নয়, শিবিরের ইনস্ট্রাকশন বা ডিরেকশনও হয় নাই। আমরা সব পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেই সিদ্ধান্ত নিতাম। আর কারা ক্ষমতার ভাগ বাঁটোয়ারা করতে চাইছে, গোষ্ঠী স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে সে বিষয়ে অন্যদিন বলবো।

৩। ২রা অগাস্ট, ২০২৪ রাতে জুলকারনাইন সায়েররা একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর এক অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল। এ উদ্দেশ্য কথিত সেইফ হাউজে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেইট করা হয় যাতে সে রাতে ফেসবুকে তারা সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করে আর আমাদের সাথে যাতে আর কোনো যোগাযোগ না রাখে। রিফাতদের বিভিন্ন লেখায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে। আমাদের বক্তব্য ছিল একদফার ঘোষণা মাঠ থেকে জনগণের মধ্য থেকে দিতে হবে। আর যারা এভাবে চাপ প্রয়োগ করছে তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। আমাদের ভিতর প্রথম থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে ক্ষমতা কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটা এক-এগারো হবে এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সামনে আগাতে হবে। ৫ই অগাস্ট থেকে আমরা এ অবস্থান ব্যক্ত করে গিয়েছি।

সায়েরগং ৫ই অগাস্টের পর বারবার চেষ্টা করেছে আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে। সেক্ষেত্রে সাদিক কায়েমদের ব্যবহার করেছে। এবং তারা ব্যবহৃতও হয়েছে। সায়ের গংদের এ চেষ্টা অব্যাহত আছে। কল রেকর্ড ফাঁস, সার্ভাইলেন্স, চরিত্রহনন, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা হেন কোনো কাজ নাই হচ্ছে না। বাংলাদেশে সিটিং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার হচ্ছে এ দেশের ইতিহাসে এরকম কখনো হইছে কিনা জানা নাই। কিন্তু মিথ্যার উপর দিয়ে বেশিদিন টিকা যায় না। এরাও টিকবে না।