বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য তারুণ্যের শক্তিসহ গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ন্যায়ভিত্তিক নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে দাঁড়িপাল্লাকে 'হ্যাঁ' বলুন।
সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর সাফা আর্কেড ক্লাবে চট্টগ্রাম-১৪ আসনের শহরে অবস্থানরত জনশক্তিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি, লুটপাট ও সন্ত্রাসমুক্ত নতুন ধারার বাংলাদেশ গঠনে সৎ, নির্লোভ ও মেধাবী নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় সংসদকে নতুনভাবে সাজাতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সে লক্ষ্যেই এবারের জাতীয় নির্বাচনে গণমানুষের ভালোবাসাসহ ব্যপক সমর্থন আশা করছে। এরই প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী দাঁড়িপাল্লার যে গণজোয়ার উঠেছে তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম-১৪ আসনেও বিজয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়লে বিপুল ভোটে দাঁড়িপাল্লার বিজয় হবে, ইনশাআল্লাহ।
আসন পরিচালক ও জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি'র ভাইস চ্যান্সেলর ও চন্দনাইশের কৃতি সন্তান প্রাণিবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও অঞ্চল টীম সদস্য জাফর সাদেক, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর পরিবেশবিজ্ঞানী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও জামায়াতের মনোনীত এমপি প্রার্থী ডাঃ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন। চন্দনাইশ উপজেলার সেক্রেটারি আহসান সাদেক পারভেজ ও উত্তর সাতকানিয়া থানার সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইলিয়াছের যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাকারিয়া, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য শহীদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও জেলা সভাপতি আসিফুল্লাহ মুহাম্মদ আরমান, অ্যাপেলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের নিউরোলজি সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ নাজিম উদ্দীন প্রমুখ।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য রাসুলুল্লাহ যেভাবে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। ঠিক তেমনিভাবে সকল জনশক্তিকে দিনরাত পরিশ্রম করে দাঁড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের শাহাদাতের বিনিময়ে আজ সারা বাংলাদেশে ইসলামের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ডাকসু, জাকসু, রাকসু, চাকসু সব নির্বাচনে ইসলামের শক্তির বিজয়ে তা প্রমাণ করে দিয়েছে, আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ। আজকের গণজাগরণ ইসলামের বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে কড়াঘাত করছে। ইনশাআল্লাহ আগামী সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে দাঁড়িপাল্লার বিজয় হবে।
জামায়াত নেতা শাহজাহান আরো বলেন, দেশের জনগণ শুধু ক্ষমতার পালাবদল চায় না। ৫ আগস্টের পর দেশে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন লক্ষণীয়। জনগণ মূলতঃ একটি শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণ করতে চায়। তাই আগামীতে ইসলামী শক্তির বিজয় কোন দল বা গোষ্ঠী ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে তিনি বলেন, গণভোট জনগণের বড় অংশের প্রত্যাশা। গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি বা মর্যাদা দিতে হবে। কিন্তু বড় দল হয়ে গণভোটে ভয় পায়। গণভোটে কেন ভয় পাচ্ছে, তা জনগণ বুঝতে পেরেছে। মুলা ঝুলিয়ে জনগণকে আর কোন প্রতারণা করা যাবে না। জনগণ একটি বিরাট পরিবর্তনের আশা নিয়ে জামায়াতের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ বিজয় দিতে চাইলে কোন পরাশক্তি এবিজয় ঠেকাতে পারবে না। আল্লাহ আমাদের ত্যাগকে কবুল করে ইসলামের বিজয় দান করবেন।
প্রাণিবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আলী আজাদী বলেন, আল্লাহ তাআলা ৫ আগস্ট আমাদের জন্য নিয়ামত দিয়ে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ কখন কাকে বিজয় দান করবেন তা কেউ বলতে পারে না। তাই অতীতের ন্যায় আল্লাহর ভয় নিয়ে জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে। আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারলে, মানুষকে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার কাজে সম্পৃক্ত করালে আমাদের বিজয় হবে, ইনশাআল্লাহ।



