গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপি দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘আজকে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আমরা যেটা চাই, সেটা হচ্ছে— একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে একটি পদ্ধতি রয়েছে, সেটি হলো নির্বাচন। এই পদ্ধতি ব্যতীত বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার কোনো দ্বিতীয় পদ্ধতি নেই।’
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে তাঁতী দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীন করা হয়েছিল। আমরা সেই বাংলাদেশে নতুন করে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই। আর এ অভিযাত্রায় বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে।’
‘বিএনপি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছে— ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে আমরা একটি জিনিস চাই। সেটা হচ্ছে— বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত এক বছর ধরে এই অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেছে। আজকের সরকার যে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে, তার তিন বছর আগে আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। এই ৩১ দফা ইতোমধ্যে আমরা দেশের মানুষের মধ্যে উপস্থাপন করেছি। তাই, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমাদের সংস্কার শেখার কোনো প্রয়োজন নেই।’
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘মানুষের কল্যাণ কিভাবে সাধন করতে হয়, সেটা বিএনপি জানে। পুনরায় এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপি ১৮ কোটি মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিএনপি সঠিক এবং ন্যায়ের পথে রাজনীতি করে। বিএনপি উদার এবং নৈতিকতার রাজনীতি করে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মতো বাকশালে পরিণত করেছিল। যেখানে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। মানুষের ভোটের এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছিল না। একটি অলিগার্ককে সৃষ্টি করে, সেই অলিগার্কের মাধ্যমে লাখ কোটি টাকা পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের কথা বলার অধিকারকে ধ্বংস করে দিয়ে একটি অপশাসন এবং স্বৈরাচারী শাসন তারা কায়েম করেছিল।’



