ডা: তাহের

একদিনে গণভোট আর জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তাব উদ্ভট আলোচনা

‘বিএনপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে আগে দ্বিমত করলেও পরে গণভোটের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের |ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, গণভোট আর জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়। এই দুটি একদিনে করার প্রস্তাব উদ্ভট আলোচনা। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোট দিতে হবে।

বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ডা: তাহের বলেন, বিএনপি জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে আগে দ্বিমত করলেও পরে গণভোটের বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এ জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, যে সমস্ত বিষয়ে আমরা এক জায়গায় আসছি এবং এনসিসি সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেই সবগুলোকে একটা প্যাকেজের ওপরে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এখন গণভোট কখন হবে? এই নিয়ে আবার কিছুটা আমাদের ভেতরে ডিফারেন্স। আমরা বলেছি, গণভোট হচ্ছে রিফর্মস কমিশন কমিটির জন্য। এটা আলাদা বিষয় আর জাতীয় নির্বাচন একটি আলাদা বিষয়।

জামায়াত নেতা বলেন, গণভোটে এমন কিছু দিক আছে যেগুলা যদি ‘হ্যাঁ-না’ ভোটে না হয়, তাহলে তার ভিত্তিতে নির্বাচনের ক্যারেক্টারে কিছু পরিবর্তন হবে। যেমন আপার হাউস পিআর সিস্টেম। নির্বাচনের আগেই ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে পৌঁছতে হবে এবং সেই সিদ্ধান্তের আলোকে জাতীয় নির্বাচনে আপার হাউজের ভোট হবে। যদি এটা নির্বাচনের দিনেই হয় কেউ কেউ চাচ্ছে, নির্বাচন একসাথে তাহলে তো আপার হাউস নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আর পাস হইলো না।

তিনি বলেন, একদিনে জাতীয় ও গণভোট হলে ভোট কাস্টিং একেবারেই অপ্রতুল হবে। কারণ, সেদিন গণভোটের কোনো গুরুত্বই থাকবে না।

তাহের বলেন, আশা করি- ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাব এবং অনিশ্চিত আমরা দেখি না।