মানুষের মনোজগত চেঞ্জ হয়েছে, এটা বুঝতে না পারাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নাই

নয়া দিগন্তের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

~প্রত্যেক দিন বলি, টলারেন্স থাকতে হবে, আমরা এত ইনটলারেন্স জাতি হয়ে গেছি, কেউ কাউরে সহ্য করতে পারি না। কেউ একটা কিছু বলে এমনভাবে এটার উত্তর দেয় যে, মনে হবে আমার শত্রু একটা কথা বলছে যুদ্ধে নেমে গেছে।"

অসীম আল ইমরান
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন অসীম আল ইমরান
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন অসীম আল ইমরান |নয়া দিগন্ত

৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোজগত চেঞ্জ হয়ে গেছে। যারা এটা বুঝতে পারছে না, তাদের কোনো রাজনীতিক ভবিষ্যৎ নাই, এটা আমি হলেও আমার কোনো রাজনীতিক ভবিষ্যৎ নেই , সোজা কথা, পরিষ্কার কথা। তাই বুঝো ধারণ করো, ওভাবে চলো, তোমার কথাবার্তা, অঙ্গভঙ্গি, চোখের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, প্রত্যেক মানুষ যখন তোমাকে হাই প্রোফাইল পলিটিশিয়ান ভাবে, মানুষ খেয়াল করছে কিভাবে কথা বলছি, আমার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। এমন কিছু করলে স্মার্ট, ইয়াং ছেলে মেনে নেবে না, ওরা সারা দুনিয়া দেখছে, তারা তো দুনিয়ার সাথে কম্পেয়ার করবে? আগে তো কম্পেয়ার করার কেউ নাই।' এসব কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

তিনি বলেন, প্রত্যেক দিন বলি, টলারেন্স থাকতে হবে, আমরা এত ইনটলারেন্স জাতি হয়ে গেছি, কেউ কাউরে সহ্য করতে পারি না। কেউ একটা কিছু বলে এমনভাবে এটার উত্তর দেয় যে, মনে হবে আমার শত্রু একটা কথা বলছে যুদ্ধে নেমে গেছে। তার অধিকার আছে, সে তো রাজনীতির দল করে না? তো বলবে ওর স্বার্থ আছে তো। বাংলাদেশের মানুষ তো বোকা না, বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু এখন এখন দেখেন যে কারা সফস্টিকেটেড লোক, কারা ভদ্রলোক, কাদের মধ্যে টলারেন্স আছে, কারা আরেকজন রেসপেক্ট; এটা মানুষ পছন্দ করে। যেসব রাজনীতিবিদ এখনো এটা ধারণ করতে পারে নাই, বুঝতে পারেন নাই, তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নাই, আমি বলে দিচ্ছি। বক্তৃতা দিয়ে দলেরও কোনো ভবিষ্যৎ নাই, রাজনীতিবিদেরও কোনো ভবিষ্যৎ নাই। এখন তো আমি যখন বক্তৃতা দিছি, তখন ওয়ার্ল্ডে আরো ২০টা বক্তৃতা চলতেছে। পাঁচটা ডিবেট চলতেছে। ১০টা পডকাস্ট চলতেছে। তো আমার বক্তৃতা দুই মিনিট পরে সে যদি দেখবে যে হি ইজ টকিং রাবিস। ও সুইচ করে অন্যটা দেখবে। আমাকে কেন দেখবে?

দৈনিক নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকার তিনি এসব কথা বলেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সাথে কথপোকথন তুলে ধরা হলো।

নয়া দিগন্ত : আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ না হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ষড়যন্ত্র দেখেন কিনা?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : না, না। কেন ষড়যন্ত্র দেখবো? একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে লন্ডনে। একটা জয়েন্ট স্টেটমেন্ট দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সরকারের সাথে কোনো রাজনৈতিক দলের জয়েন্ট স্টেটমেন্ট কেউ দেখছে? জয়েন্ট স্টেটমেন্ট পড়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আমি তো পড়িনি। আমি তো পড়তে পারতাম। আমি কেন পড়িনি? পড়েছে সরকারের লোক, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নাই। এভাবে সরকারের কমিটমেন্ট না থাকলে উনারা জয়েন স্টেটমেন্টে যেতো? আমি মনে করি না। আমি কেন সন্দেহ করবো, কেন প্রশ্নবিদ্ধ করব, প্রশ্নবিদ্ধ করার মত কোনো ঘটনা ঘটছে? কেন একটা জিনিস, লন্ডনের বৈঠকে বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, নির্বাচন কমিশনও তাদের কাজ শুরু করছে এবং বাংলাদেশে এখন প্রত্যেক এলাকায় প্রার্থীরা এলাকায় দৌঁড়াচ্ছে ওই লন্ডনের মিটিং এর পর থেকে। নমিনেশন ফাইনাল হচ্ছে বিভিন্ন দলের ভিতরে ভিতরে। নমিনেশন ফাইনাল হচ্ছে প্রত্যেক দলের মধ্যে। এখানে বৈঠককে প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো সুযোগ নেই । কারণ তো ঘটে নাই। আমি প্রশ্নবিদ্ধ করব? আমি সোসাইটি সব জায়গায় বলি, ট্রাস্ট থাকতে হবে, ট্রাস্ট ছাড়া একটা জাতি চলতে পারে না। কেউ যদি ট্রাস্ট ভঙ্গ করে, তো তার সমস্যা। কিন্তু বিএনপির সমস্যা না। লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে, বৈঠক যে পরিবেশে হয়েছে এবং যে কথাগুলো হয়েছে, যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মত আমি আমার মনে কোনো সন্দেহ দেখি না। এটা হাই প্রোফাইল মিটিং হয়েছে, সারা দুনিয়া দেখেছে।

নয়া দিগন্ত : ইসলামিক দলগুলোসহ বেশ কয়েকটি দল বলছে যে আনুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট দিতে হবে। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। এটাতে অস্বস্তি দেখছেন কি না?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : না, কেন অস্বস্তি দেখব? প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে তার কথা বলার। সে সেগুলো বলবে, সে চেষ্টা করবে কিন্তু সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণের, তাই না? আমরা যদি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করি এবং যার প্রত্যেকটা রাজনীতিক দলের কথা আমি বলতেছি, ইনক্লুডিং সকলের জন্য বলতেছি, কেউ যদি রাজনীতিক, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করে তাহলে জনগনের কাছে আগামী নির্বাচনে এটা নিয়ে যেতে হবে। ইমিডিয়েটলি, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যেতে হবে আমাদেরকে, তাই না? আমি যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পৌঁছতে না পারি, যেখানে জনগণ ভোটাধিকার দিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে, একটি সংসদ করতে পারবে, একটি সরকার গঠন করতে পারবে। যে সরকার তাদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। যেটা এখন অনুপস্থিত বাংলাদেশে, দায়বদ্ধ থাকবে, ১৫- ১৬ বছর ধরে একই কথা বলছি, বাংলাদেশের মালিক তো জনগণ, মালিকানা তো ফিরায় দেয়ার জন্য তো মালিকের কাছে যাইতে হবে। প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা দর্শন থাকবে। এজন্য তো এই জায়গায় এটিকে আমরা তো আর বাকশালও করতে বসি নাই। সব এক জায়গায় মিলে যেতে হবে। সব এক জায়গায় মানতে হবে। আমরা যা বলছি তা করতে হবে। তাহলে তো বাকশাল হয়ে গেল। প্রত্যেক দলের ভিন্নমত থাকবে, দর্শন থাকবে, ভাবনা থাকবে। তারা তাদের কাজ করতেছে। সুতরাং তারা বলবে। এবং তাদের প্রতি আমার রেসপেক্ট থাকবে। আমি তার সাথে ভিন্ন মত পোষণ করলেও তার প্রতি সম্মান দেখাতে তো অসুবিধা নেই। ভিন্ন মত পোষণ করবে কিন্তু তার মতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে মত তো ভিন্ন হবে। কারণ সে তো আলাদা পার্টি সেতো আমার দলের কেউ না এবং তার থাকার হিসাব নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে। কোন পাঁচজন-দশজন বিজ্ঞ মানুষ বাংলাদেশে বসে বাংলাদেশে মানুষের সিদ্ধান্ত দেয়ার অধিকার কারো নেই। আমরও নেই। দিনের শেষে বাংলাদেশের জনগণ এই সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশের আগামী দিনে কি পরিবর্তন আসবে, কি সংস্কার আসবে, কোন দিকে যাবে? এবং যে সরকার নির্বাচিত হয় তারা দায়বদ্ধ থাকবে। শেখ হাসিনা নির্বাচিত না হওয়ার কারণে, তার কোনো দায়বদ্ধতা ছিল না, জবাবদিহিতা ছিল না, যা ইচ্ছে তাই করছে, দিনকে রাত করছে, গুম হত্যা চালিয়ে গেছে, লুটপাট করে খেয়ে ফেলেছে। আমাদের ফাস্ট, নির্বাচনের মাধ্যমে একটা নির্বাচিত দায়বদ্ধ জবাবদিহিতা সরকার প্রতিষ্ঠা করার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করার প্রধান দায়িত্ব এবং তার মাধ্যমে প্রত্যেকটি দলের অধিকার আছে তারা জনগণের কাছে যাবে, তাদের এজেন্ডা নিয়ে যাবে, জনগণ সমর্থন নিয়ে তারা সংসদে আসবে, সংসদে সেটা বিতর্ক হবে, তর্ক হবে, আলোচনা হবে, সেটা পাস হবে অথবা পাস হবে না। ওদিন পাস না হলে আগামীতে আবার পাস হতে পারে, এটা তো একটা কারেকশন প্রসেস ডেমোক্রেসি, একটা কারেকশন প্রসেস একটা ফিল্টারেশন প্রসেস, এই প্রসেস তো অব্যাহত না থাকার কারণে দেশ আজকে গর্তের মধ্যে। আমাদেরকে এই প্রসেস শুরু করতে হবে, অব্যাহত রাখতে হবে এবং সবাই সবার কথা বলার, জনগণ যাওয়ার অধিকার থাকবে, ফ্রিলি। কাউকে আমি বাধাগ্রস্ত করতে পারব না। কারো প্রতি বিদ্রোপ কিংবা অন্যরকম, এই যে একটা টক্সিক পরিবেশ। যেটা পরিবেশ সৃষ্টি করা। এটা কিন্তু দেশের জন্য ভালো না। যত হাজার রিফর্ম করেন না কেন কোনো লাভ হবে না, যদি আমাদের মধ্যে পরস্পর সম্মান না থাকে, দ্বিমত পোষণ করুক। আমাকে তাকে সম্মান দিতে হবে। এই জায়গায় আসতে হবে। রাজনৈতিক কালচার পরিবর্তন করতে হবে, সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে, মন মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যে মনোজগৎ পরিবর্তন আসছে, এটা তা বুঝতে হবে, ধারণ করতে হবে ওইভাবে চলতে হবে।

নয়া দিগন্ত : বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সন্তানেরা যারা রাজনীতিতে জড়িত —আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়নের ব্যাপারে দল কি ভাবছে?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : অবশ্যই আছে। যাদের যোগ্যতা, দলীয় কাজে অবদান ও সুনাম আছে—তাদের সামনে আনা হবে। ইয়াং জেনারেশনকে নেতৃত্বে আনতেই হবে। আমরা তো আর সারাজীবন রাজনীতি করতে পারি না।

নয়া দিগন্ত : তাহলে তরুণরাই প্রার্থী হিসেবে বেশি এগিয়ে থাকবে?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : বেশি কমের ব্যাপার না—যাদের মেধা, শিক্ষা, যোগ্যতা ও জনগণের সাথে সম্পর্ক আছে, তারাই মনোনয়ন পাবে। বিএনপি চায় কোয়ালিটি সংসদ—যেখানে প্রতিটি প্রতিনিধি যুক্তি ও কাজ দিয়ে অবদান রাখতে পারে। আমরা তো আগে থেকেই বলেছি, রাজনীতির মানোন্নয়নের জন্য ‘আপার হাউস’ দরকার—এটাই আমাদের প্রস্তাব ছিল ৮ বছর আগে।

নয়া দিগন্ত : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন যোগ্যতা কি হবে?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : যোগ্যতার মধ্যে সবকিছু বিবেচনা আসে। কেউ পিএইচডি করছে, আবার কেউ হয়তো কম লেখাপড়া করলেও জনসেবায় তার গুণ আছে তার রাজনীতিতে অবদান আছে এবং তার সততা আছে এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা আছে। অনেক দেশের প্রাইম মিনিস্টারও হইছে আন্ডার গ্রেজুয়েট। বেগম খালেদা জিয়ার মত যোগ্য প্রাইম মিনিস্টার আজকে বাংলাদেশের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জননেত্রী। বেগম খালেদা জিয়া উনার কি কোয়ালিফিকেশন লাগবে? উনার কোয়ালিফিকেশন তো উনার কাজ। গভর্নমেন্ট সিভিল সার্ভিসে এখানে জয়েন্ট সেক্রেটারি হবে তারপর এডিশনাল সেক্রেটারি হবে তারপর সেক্রেটারি হবে। পলিটিক্স হচ্ছে তোমার যোগ্যতা তোমার জনগ্রহণযোগ্যতা, তোমার সততা, তোমার তোমার মেধা। এগুলোর উপর রাজনীতি হবে। মেধাভিত্তিক রাজনীতিটা আমাদের দেশে অনুপস্থিত। অনেকদিন ছিল এটাকে আমাদের এখন মেধাভিত্তিক রাজনীতি করতে হবে। এখন বিশ্ব বদলে গেছে দেশ বদলে গেছে, মানুষ বদলে গেছে, প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। সুতরাং এটা যারা করবে না রাজনীতিও হবে না, দেশও হবে না। দেশ গড়তে হলে মেধাবী রাজনীতিবিদ লাগবে। মেধাবী রাজনীতিবিদ ছাড়া দেশ গড়া চলবে না। দেশ চালাতে হলে মেধাবী রাজনীতিবিদ লাগবে। আগের মত আমি লাইন ধরে আমরা লোকজন কিছু মন্ত্রী বানায় দিলাম এটা। এগুলা হবে না।

নয়া দিগন্ত : আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট হতে যারা সহায়তা করেছে তারা যদি বিএনপির সাথে থাকার চেষ্টা করে বা সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চায় তাদের ক্ষেত্রে দলের অবস্থান কি ?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : প্রশ্নই আসে না। বিএনপির থেকে বড় সাফারার কেউ আছে? আমাদের চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো দল আছে? আমাদের ৬০-৭০ লাখ নেতা মামলার আসামি। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম খুনের শিকার। জেলের মধ্যে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। পুলিশের হেফাজতে মারা গেছে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে । ব্যবসা বাণিজ্য হারিয়েছে চাকরি হারিয়েছে। পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে।

নয়া দিগন্ত : নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা কতটুকু?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হলে তখন এ নিয়ে আলোচনা হবে।

নয়া দিগন্ত : আপনি কিছুদিন আগে বলেছিলেন যে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে। আমার প্রশ্ন উনার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত বা রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ দেখেন কিনা?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : না, না কোনো চ্যালেঞ্জ কি? চ্যালেঞ্জ হচ্ছে উনার সিদ্ধান্ত উনি নেবেন, উনার সময় মত । কারণ এত বছর বাইরে থাকছেন সুবিধা অসুবিধা আছে, পারিবারিক আছে রাজনৈতিক আছে অনেক বিষয় আছে এটা উনার থেকে ভালো কেউ বুঝবেন না। আমি যতটুকু বলতে পারব উনি প্রস্তুতি নিচ্ছে আসার জন্য যে কোন সময়। উনি যেদিন দিন ডিক্লেয়ার করবে এটা আমরা সবাই জানতে পারব এই সিদ্ধান্ত উনাকে দিতে হবে ।

নয়া দিগন্ত : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে কোন শঙ্কা আছে কিনা?

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী : আমি শঙ্কার কথা বলছি না। কিন্তু উনার লেভেলের একজন নেতার নিরাপত্তা বিষয়ে তো বিবেচনা রাখতে হবে। উনি ফ্যাসিজদের বিরুদ্ধে সারা দেশের লোক মবিলাইজড করেছেন। আন্দোলন করেছেন। উনার লেভেলে বিশেষ নিরাপত্তা থাকা স্বাভাবিক।