জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাম্প্রতিক আলোচনায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে গৃহীত ঐকমতের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এই সনদ আসলে একটি ঐতিহাসিক অঙ্গীকারনামা, যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে জাতিকে একটি নতুন দিশা দেখাবে।
তিনি উল্লেখ করেন, এই সনদের মূল শক্তি হলো- এতে থাকা অঙ্গীকারনামা, যেখানে ঐকমত্যে পৌঁছানো বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে আইন, সংবিধান ও বিধির পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সন্ধ্যা বিরতীকালে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদই হবে মূল মঞ্চ। আমরা একমত হয়েছি যে- সংসদ গঠনের দুই বছরের মধ্যে সব অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হবে। আর তার আগেই অনেক সংস্কার প্রস্তাব ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর হয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই সনদের চূড়ান্ত কপি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরসহ কমিশনের সব সদস্য এবং রাজনৈতিক নেতাদের স্বাক্ষরে প্রকাশিত হবে। এটি জাতির সামনে ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে উন্মুক্ত থাকবে। এরপর কোনো রাজনৈতিক দল কি সাহস করবে একে ভাঙার? তাহলে কী বিশ্বাসযোগ্যতা থাকবে, সেই রিস্ক কি কোনো দল নেবে?
তিনি বলেন, ‘আমার তো মনে হয় না এর চাইতে বড় বেশি কোনো কনসেনসাস হতে পারে? এর চাইতে বড় বেশি কোনো মেমো অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং হতে পারে। এর চাইতে বড় কোনো সোশ্যাল এগ্রিমেন্ট হতে পারে। এই কন্ট্রাক্ট অনেকটা সোশাল, ইট ইজ কন্ট্রাক্ট ইন বিটুইন ন্যাশন, ইন বিটুইন পিপল এন্ড দি পলিটিক্যাল পার্টিস এন্ড স্টেকহোল্ডারস। অর্থাৎ জাতীয় ঐকমত্যকে তিনি একটি ‘সামাজিক চুক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এই চুক্তি শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নয়, এটি পুরো জাতির সাথে, জনগণের সাথে, একটি ঐক্যমূলক প্রতিশ্রুতি।’
তিনি আরো বলেন, ৬টি সংস্কার কমিশনের ৮২৬টি সংস্কারের সুপারিশের মধ্যে ৬৫৯টিতে একমত পোষণ করেছি। মাত্র ৫১টিতে বিএনপি একমত হয়নি। আর বাকি ১১৬টিতে দ্বিমত পোষণ করেছি। তারপরও বলবে, বিএনপি সংস্কার চায় না। সেটা জাতি দেখেছে।