মির্জা ফখরুল

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে

‘সারাবিশ্বের জনমত এবং বাংলাদেশের জনগণের দাবি ও প্রত্যাশা ছিল যেন পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের মানবতাবিরোধী ও নৃশংস, জঘন্য হত্যাকাণ্ড এবং গণহত্যায় অপরাধের বিচার করা হয়।’

অনলাইন প্রতিবেদক
স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর |নয়া দিগন্ত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছেন তাতে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে’ বলে মনে করে বিএনপি।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সারাবিশ্বের জনমত এবং বাংলাদেশের জনগণের দাবি ও প্রত্যাশা ছিল যেন পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের মানবতাবিরোধী ও নৃশংস, জঘন্য হত্যাকাণ্ড এবং গণহত্যায় অপরাধের বিচার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে আজকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দু’ দোসরের বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হয়েছে। এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আইনের বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা প্রদান করা হয়েছে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের। পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার কারণে প্রাপ্য সাজা কমিয়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি এ ব্যাপারে জনগণকে সদা সর্বদা সচেতন থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। একইসাথে বিএনপি অন্যান্য মামলায় অভিযুক্তদের সুবিচারের দাবি জানাচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই রায়ের ফলে আমরা মনে করি, দীর্ঘ ১৬ বছরের গুম-খুন ও বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার এবং ২০২৪ ছাত্র গণঅভ্যূত্থানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার সহস্রাধিক শহীদের রুহের শান্তি পাবে এবং তাদের পরিবার পরিজনদের ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে।’

রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির এ বৈঠক হয়। তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। দু’ ঘণ্টা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিং করেন বিএনপি মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহ উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।