জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ইশরাক হোসেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে আহতদের জন্য উপহার নিয়ে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) যান তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
এই হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ২৯ জন এবং আরেকটি ওয়ার্ডে ১৯ জন আহত জুলাই যোদ্ধা ভর্তি রয়েছেন। ইশরাক হোসেন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সারাদিনে এই বীর সন্তানদের কেউ খোঁজ নিতে যাননি। তাই তিনি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের জন্য উপহার নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। ইশরাক হোসেন যাওয়ায় হাসপাতালে মুহূর্তের মধ্যে আনন্দ ঘন পরিবেশের তৈরি হয়।
এ সময় কাজী জাবের বলেন, ঈদে কেউ কোনো খোঁজ নেননি। আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে হওয়া উপদেষ্টারা এখন আরাম-আয়েশে ঘুরেছেন, ঈদের আনন্দ করছেন। আর আমরা এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছি। আমাদের কোনো খোঁজ নেয়ারও দরকার মনে করেন না তারা। এমনকি এই ঈদের দিনেও নষ্ট খাবার দেয়া হয়েছে।
নাদিম হাসান বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কী করলাম। মাসের পর মাস হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। আর তারা এখন ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। নতুন দল নিয়ে ব্যস্ত। আমাদের কথা ভাবার সময় কই!
আইয়ুব হোসেন বলেন, তাদের আর কী চাই? তারা তো উপদেষ্টা হয়েছেন। তাদের কী আর আমাদের কথা ভাবার সময় আছে। যারা জুলাই বেঁচে খাচ্ছে জুলাই তাদের ছাড়বে না।
আহতদের অভিযোগ শুনে হতাশা প্রকাশ করেন ইশরাক হোসেন। একই সাথে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই সরকার, তারা ব্যস্ত লুটপাট নিয়ে। এই বীর যোদ্ধাদের কোনো খবর নেয় না, এই ঈদের দিনেও তাদের কোনো খোঁজ নেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তারা।
আর ছাত্র উপদেষ্টারা আছেন, তাদের রাজনৈতিক দল গোছানো নিয়ে। আর এই জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে তাদের কোনো ভাবনা নেই। জুলাই ফাউন্ডেশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ইশরাক হোসেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, এই সরকার যদি অতিদ্রুততম সময়ের আহত যোদ্ধাদের উন্নত চিকিৎসা না করে এবং এই আহতরা যদি আবারো আন্দোলন করে, তাইলে তাদের সাথে প্রয়োজনে আমরাও আন্দোলনে যোগ দিবো।
এই হাসপাতালের দুটি ওয়ার্ডে মো: রাফি হোসেন, কাজী মো: জাবের, মো: আল আমিন, মো: মনির হোসেন, মো: ছাব্বির হোসেন, মো: শাহিন আলম, মো: হাছান, মো: আব্দুল্লাহ, মো: রিফাত হাং, মো: পারভেজ মিয়া, মো: শাকিল খান, মো: আব্দল্লাহ, মো: রফিকুল ইসলাম, মো: রুমান হোসেন, মো: জামাল হোসেন, মো: আলম শেখ, মো: দুলাল মান, মো: মনির খান, মো: নাদিম ও আরেকটি ওয়ার্ডে মো: আইয়ুব হোসেন, মো: শামিম মিয়া, মো: সোয়েব, মো: আরাফাত, মো: সজিব হোসেন, মো: শহিদুল, মো: রেজওয়ান, মো: মাহিম, মো: ইব্রাহিম খলিল, মো: মাসুদ, মো: শাহ্ রিয়ায়, মো: মাসুমসহ ৪৮ জন ভর্তি রয়েছন।