দেশের বরেণ্য আলেম ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর ছোট ভাই। তিনি রাজধানীর মানিকনগর মাদরাসা ছাড়াও একাধিক মাদরাসায় হাদীসের দরস দিতেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমীর অবস্থা গুরুতর ছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমীর অক্সিজেন লেভেল অনেক নিচে নেমে গেছে। তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে পরিবারের সিদ্ধান্তে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়নি। তাদের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের জানানো হয়েছিলো, লাইফ সাপোর্ট ছাড়া যত চেষ্টা আছে তা যেন করা হয়। চিকিৎসকরা তখন বিকল্প যত ব্যবস্থা আছে তা প্রয়োগ করে। তারপর আজ দুপুরে তিনি মহান প্রভুর সান্নিধ্যে গমন করেন।
জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমীর ইন্তেকালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের গভীর শোক
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সম্মানিত সহ-সভাপতি, প্রবীণ আলেমে দ্বীন, বর্ষীয়ান মুরব্বি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমীর ইন্তেকালে শোক জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) দলটির সভাপতি শাইখুল হাদিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এক যৌথ শোকবার্তায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
শোকবার্তায় তারা বলেন, মাওলানা কুদ্দুস কাসেমী রহ: ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান, দূরদর্শী ও খাঁটি আহলে হক আলেম। জমিয়তের আদর্শ বাস্তবায়নে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার ইন্তেকালে আমরা একজন অভিভাবক হারালাম।
নেতৃবৃন্দ মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, ছাত্র ও অনুসারীদেরকে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দেন।



