সিইসিকে গণঅধিকার পরিষদের ৯ দফা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না

বিগত তিনটি (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে এমন কোন কর্মকর্তাকে নির্বাচনী দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।

বিশেষ সংবাদদাতা
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর |নয়া দিগন্ত

বিগত তিনটি (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে এমন কোন কর্মকর্তাকে নির্বাচনী দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) দেয়া লিখিত প্রস্তাবনায় বলেছে, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন উপদেষ্টা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এমন বিধান যুক্ত করতে হবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে শেষ করার জন্য তাদের এসব প্রস্তাবনা।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগাওগাওস্থ নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এই প্রস্তাবনা পেশ করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে গণঅধিকার পরিষদ নেতা বলেন, ‘উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হলে তা নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পদে থাকা অবস্থায় কারোও নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকা উচিত নয় বলে তারা প্রস্তাবে উল্লেখ করেছে।’

গণঅধিকার পরিষদের লিখিত নয় দফা প্রস্তাবনা :

আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সংশ্লিষ্টদের রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার সহ নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে না রাখা। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা এবং কেন্দ্রের বাইরে একটি জায়ান্ট স্ক্রিসে জনসাধারণের জন্য কেন্দ্রের ভেতরের ভোট কার্যক্রম ও ভোট গণনা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট বাক্স উপজেলাতে পাঠানোর সময় এবং ভোট কেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আসা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রার্থীদের অ্যাজেন্টদের সাথে রাখা। ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্র দখল ও কালোভোটের অভিযোগ থাকলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা। কোনো প্রার্থীর সমর্থকরা অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদান, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করলে তথা প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিগত তিনটি (২০১৪, ২০১৮, ২০২৪) নির্বাচনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছে এমন কোন কর্মকর্তাকে নির্বাচনী দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত রাখা। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো উপদেষ্টা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এমন বিধান যুক্ত করা। তফসিলের পর প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো।