ছাত্রসংসদ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা চলছে : শিবির

ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র, নারী হেনস্তা, চবি ও বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অব্যাহত মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
রাজধানীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল
রাজধানীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল |নয়া দিগন্ত

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে অভ্যুত্থান-পরবর্তী জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ছাত্রসংসদ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা চলছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র, নারী হেনস্তা, চবি ও বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে অব্যাহত মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এ কর্মসূচি পালন করে।

নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রসংসদের তফসিল ঘোষণায় একটি পক্ষের আঁতে ঘা লেগেছে। তারা ছাত্রসংসদ নির্বাচন বন্ধে কালো থাবা মারার চেষ্টা করছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টা চলছে। প্রশাসনও তাদের ইশারায় চলছে। ইতোমধ্যে ডাকসু নির্বাচন বন্ধে তারা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছে, যা এক গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’

ছাত্রশিবির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ট্যাগিং, সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে অশ্রাব্য ভাষায় হেনস্তা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের যদি ছাত্রবান্ধব কর্মসূচি না থাকে, তাহলে আমাদের বলুন- আমরা তৈরি করে দেবো। ছাত্রদল তাদের সভা-সমাবেশে ছাত্রশিবিরকে নিয়ে বিষোদগার না করে ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলুক।’

তিনি ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও ট্যাগিং বাদ দিয়ে গঠনমূলক কাজে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান।

নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘ছাত্রদল সেই সংগঠন, যাদের হাতে ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে নারী শিক্ষার্থী নির্যাতন, শামসুন নাহার হলে নারী শিক্ষার্থী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তাদের হাতেই জীবন দিতে হয়েছে বুয়েটের মেধাবী নারী শিক্ষার্থী সনিকে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে অন্তত ৩০টি ধর্ষণের সাথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিলেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘চবি ও বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এভাবে কোনো ক্যাম্পাস চলতে পারে না। বাকৃবিতে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এসে হামলা করা হয়েছে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি রেজাউল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহসহ মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা।

এছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, মোমেনশাহীসহ দেশের বিভিন্ন মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।