মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। একই দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সচিবালয় অভিমুখে ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী। তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে লং মার্চসহ পরবর্তী কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আজ সকালে তিনি বলেন, ‘২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিক্যাল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।’
এর আগে, সোমবার সকাল থেকে সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে স্কুল-কলেজে ক্লাস কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, বরং শিক্ষক লাউঞ্জ, অফিসকক্ষ কিংবা আঙ্গিনায় অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ শিক্ষকদের সরাতে গেলে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানায়, সরকারের প্রস্তাবিত ভাতা বৃদ্ধির হার ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’। তারা ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, সর্বজনীন বদলি নীতি এবং চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
গত রোববার ও সোমবার রাতভর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেন শিক্ষকরা। কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে দিয়ে রাত কাটান। তাদের দাবি, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এদিকে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকায় অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করছেন তারা।



