বাংলাদেশের তিল রফতানি বৃদ্ধিতে টোকিওতে প্রকল্প উদ্বোধন

‘এ উদ্যোগ বাংলাদেশের তিল খাতকে উচ্চমূল্যের রফতানি শিল্পে রূপান্তর করার যথেষ্ট সম্ভাবনা তুলে ধরছে। একইসাথে এটি গ্রামীণ কৃষকদের সহায়তা করবে, আয় বৃদ্ধি করবে এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর রফতানি বহুমুখীকরণ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
তিল
তিল |সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানির জন্য বাংলাদেশের তিলের মূল্য শৃঙ্খল শক্তিশালী করতে আজ টোকিওতে জাপান-অর্থায়িত একটি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হলো— পাবনা ও রাজবাড়ী জেলার কৃষকদের পণ্যের গুণগত মান উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি এবং বাজারে প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণ।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টোকিওতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জাপানের সরকারি বিভিন্ন দফতরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: দাউদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত দাউদ আলী এ প্রকল্পকে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য রফতানির ভিত্তি সম্প্রসারণের জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানান।

তিনি বলেন, এ উদ্যোগ বাংলাদেশের তিল খাতকে উচ্চমূল্যের রফতানি শিল্পে রূপান্তর করার যথেষ্ট সম্ভাবনা তুলে ধরছে। একইসাথে এটি গ্রামীণ কৃষকদের সহায়তা করবে, আয় বৃদ্ধি করবে এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর রফতানি বহুমুখীকরণ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবে।

‘স্ট্রেংথেনিং সেসামি ভ্যালু চেইন ফর এক্সপোর্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পটি জাতিসঙ্ঘ বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউএসইউ) উদ্বোধন করা হয়। এটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয় (এমএএফএফ), আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইএফএডি) এবং ইউগ্লেনা কোম্পানি লিমিটেড।

এমএএফএফ-এর অর্থায়নে পরিচালিত এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো— বাংলাদেশের তিল যেন জাপানের আমদানি মানদণ্ড পূরণ করে, তা নিশ্চিত করা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি ও জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ফসল সংগ্রহের পর প্রক্রিয়াকরণ, খাদ্য নিরাপত্তার মানদণ্ড মেনে চলা এবং নির্ভরযোগ্য বাজার সংযোগ স্থাপন পর্যন্ত মূল্য শৃঙ্খলের প্রতিটি উপাদান উন্নত করা।

প্রকল্পটি ২০২৬-২৭ মেয়াদে বাস্তবায়ন হবে। এটি বাস্তবায়ন করবে আইএফএডি, ইউগ্লেনা কোম্পানি লিমিটেড এবং গ্রামীণ ইউগ্লেনা।