নববর্ষ-ঐতিহ্য

আমাদের ফিরতে হবে মাটির দিকে

এ রকম একটি সংস্কার আছে যে রাতের বেলা লক্ষ্মীপেঁচা ও শাদা পেঁচা দেখলে তা মঙ্গলজনক। এই মঙ্গল-অমঙ্গল নিয়ে অনেক লোকবিশ্বাস আছে, যা কেবল গ্রামী জীবনেই নেই, তা নগরের মানুষের মধ্যেও আছে।

নয়া দিগন্ত গ্রাফিক্স
নয়া দিগন্ত গ্রাফিক্স

ড. মাহবুব হাসান

সংস্কৃতি নিয়ে নানা ধ্যান-ধারণা আছে বাংলাদেশে। তার কারণ কী আমরা জানি? কিছুটা জানি, অধিকাংশই অনুমাননির্ভর জানা এবং অন্যের মুখে শোনা। শুনে, বুঝে নেয়ার মধ্যে ফাঁকফোকর থেকে যায়। আবার এক মুখ থেকে শুনে, নিজে যখন বর্ণনা করে, তখন শব্দভেদে তার রূপ পাল্টে যায়। পেঁচা নিয়ে এই দুর্ঘট আছে আমাদের মধ্যে। হুতোম পেঁচা আর লক্ষ্মীপেঁচার মধ্যে পার্থক্য আছে। হুতোম নিশ্চয়ই পুরুষালি চেহারার, লক্ষ্মীপেঁচা যেন শরমে জড়ানো রাঙাবধূর মতো অনেকটাই শান্তশিষ্ট। এসব ধারণা মূলত স্পেসিসের চিহ্ন দিয়ে বোঝানো। বাংলা কবিতায় পেঁচার ব্যবহার আছে নানাভাবে। কেউ কেউ লক্ষ্মীপেঁচার চেহারাই এঁকেছেন, কেউবা বর্ণনায় হুতোমকে। কিন্তু সাধারণ মানুষ পেঁচাকে চেনে অশুভ পাখি হিসেবে। পেঁচার ডাক সন্ধ্যেবেলা হলে, গ্রামীণ গৃহবধূরা অনেকটাই ভড়কে যান, ভয় পান। লোকসংস্কারের উপাদান হিসেবে সেটি আমরা লক্ষ করি। এ রকম একটি সংস্কার আছে যে রাতের বেলা লক্ষ্মীপেঁচা ও শাদা পেঁচা দেখলে তা মঙ্গলজনক। এই মঙ্গল-অমঙ্গল নিয়ে অনেক লোকবিশ্বাস আছে, যা কেবল গ্রামী জীবনেই নেই, তা নগরের মানুষের মধ্যেও আছে। কেননা, নাগরিক সমাজের মানুষেরা তো গ্রাম থেকেই তার বিশ্বাস ও সংস্কার নিয়েই নগরে আসে।

জীবনানন্দ দাশের কবিতায় যখন পড়ি ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়ি নদীটির তীরে এই বাংলায়/হয়তো মানুষ নয়, শঙ্খ চিল।’ তখন শঙ্খচিল হিসেবে আমরা চিনি সাধারণ চিলকেই। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে চিল দেখা যায় বা যেত, আজো তারা আছে বা কমে গেছে নগরায়ণের ফলে বা আরো কোনো প্রাকৃতিক অভিঘাতে, সাংস্কৃতিক চেতনার কুফলেও হতে পারে, তাদের বিলোপ হওয়ার ধারা প্রশস্ত হয়েছে। ঠিক তেমনি পেঁচাও আমাদের সামাজিক জীবনে আজ দুর্লভ। পেঁচা অশুভ, এই লোকবিশ্বাসের কারণেও এটি হতে পারে। হুতোম পেঁচার ডাক শুনলে ভয় পাবারই কথা। হুতোমের গলার স্বর আর তার সুগোল চোখের শানিত দৃষ্টি অনেক ওপর থেকেও নিচের সচল বস্তু দেখতে পায়। দেখতে পায় বলেই কী হুতোমকে এতটা ভয়?

লোকবিশ্বাসে যুক্তি নেই, আবার যুক্তিকে অগ্রাহ্যও করা যায় না। এই যে যুক্তি ও অযুক্তির মাঝখানে মানুষের চেতনায় থাকে একরকম দোদুল্যমানতা, যা আমাদের বৃহত্তর লোকজীবনে ছায়া ফেলে। ফলে পেঁচা কখনোই আমাদের লালিত স্বপ্নের প্রতীক হয়নি। হয়েছে অশুভর প্রতীক। এভাবে হাতিও আমাদের দেশে জাতীয় কোনো প্রাণী নয়। কেননা তা লোকসমাজে সহজলভ্য নয়। আমাদের সমাজে হাতির সর্বাত্মক ব্যবহার কখনেই ছিল না, আজো নেই। সে এখন চিড়িয়াখানার প্রাণী। তারা দুর্লভ নয়, তবে গণজীবনের অংশী প্রাণী হয়, যা হতে পেরেছে প্রয়োজনের কারণে ঘোড়া। ঘোড়া আমাদের লোকজীবনের অংশীদার। নিত্যদিনই ব্যবহৃত হতো এবং আজও হয়। ফলে এই সামাজিক প্রয়োজনের প্রাণীর উপযোগিতা ইতিবাচক আমাদের সমাজ-সংসারে।

পেঁচা নিয়ে জীবনানন্দ অবসরের গান কবিতায় লিখেছেন ‘পুরোনো পেঁচারা সব কোটরের থেকে/এসেছে বাহির হয়ে অন্ধকার দেখে/মাঠের মুখের দপরে/সবুজ ধানের নিচে... মাটির ভিতরে/আঁটির ভিতর থেকে চলে গেছে চাষা/শস্যের ক্ষেতের পাশে আজ রাতে আমাদের জেগেছে পিপাসা!’

পেঁচা যে অন্ধকার ভালোবাসে, জীবনানন্দের কবিতায়ও সেই কথাই উঠে এসেছে। এই কবিতার একটি পঙ্ক্তি... ‘পেঁচার পাখার মতো অন্ধকারে ডুবে যাক/রাজ্য আর সাম্রাজ্যের সঙ’ তার মানে পেঁচা যে অশুভ কেবল জীবনানন্দই বলেননি, গোটা বাংলা সমাজও জানে। কিন্তু সত্যি কি জানে?

জানে না। আমরা ঐতিহ্য সম্পর্কেও ভাসা ভাসা জানি। কোনটি ঐতিহ্য আর কোনটি নয় তা আমরা স্পষ্ট করে জানি না। সেই কারণেই আমাদের গণমনে ও চেতনায় অপসংস্কৃতির প্রতীকগুলোকেও শুভ ও সুন্দর প্রতীক হিসেবে চালিয়ে দেয়া হয়। আমাদের লোকসমাজের বড় একটি অনুষ্ঠান বাংলা সনের প্রথম দিনটিকে ঘিরে এবং সেই দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপন। গ্রাম-বাংলায় একে হালখাতা হিসেবে চেনা যায়। পয়লা বৈশাখ সেই হালখাতা। গ্রামের দোকানিরা সাংবাৎসরিক বিক্রি-বাট্টার হিসাব চুকিয়ে দিয়ে নতুন বছরে নতুন খাতা খোলেন। যারা বাকিতে নিত পণ্যসামগ্রী, সেই বকেয়া পরিশোধ করে দেয় বৈশাখের পয়লা দিন। সেই দিন দোকানি,ব্যবসায়ী সেই ক্রেতাকে মিষ্টিমুখ করান। এই ধারাই কালক্রমে শহরে নগরে ঢোকে। তারাও সেটিই করেন। এটিই ঐতিহ্যের ধারা, আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনার অংশ। এই সূত্রে আধুনিক নাগরিক শিক্ষিত সমাজ পয়লা বৈশাখ উদযাপনের আয়োজন করেন।

ঢাকায় রমনা পার্কের বটমূলে, ভিন্ন মতে পাকুর গাছের মূলে ছায়ানট বহুকাল ধরে আয়োজন করে আসছে নতুন বছর বরণের অনুষ্ঠান। সদ্য প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপিকা সনজিদা খাতুন এই বর্ষবরণের প্রধান উদ্যোক্তা। ষাটের দশকে পাকিস্তানি শাসকরা যখন রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল, তারই প্রতিবাদে এই বর্ষবরণের সূচনা করেন ছায়ানটের কর্মীরা।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর রমনার ওই বটমূলে বৈশাখ বরণের আয়োজন চলে। কিন্তু তা ছিল ছোট আকারে। তিন শ’-চার শ’ শিক্ষিত লোকের বেশি সমাগম হতো না। শ্রোতামণ্ডলীর সবাই ছিলেন সাংস্কৃতিক চেতনায় পশ্চিমবঙ্গের অনুসারী। তারা মনে করতেন এবং আজও কতিপয় মানুষ মনে করেন, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কলকাতার মানুষেরা প্রাগ্রসর। সেটি কেন হবে! কারণ সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাঙালিয়ানার চেয়েও লোকাচার অনেকটাই অগ্রগণ্য। লোকসমাজের নানান উদ্ভাবনা ও কারিগরি বিদ্যা ও উপকরণ, লোকবিশ্বাস ও সংস্কার মিলে যে বৃহত্তর সাংস্কৃতিক রূপ, তা কলকাতার নগরজীবীদের মধ্যে ছিল না। আবার আজকের ঢাকার নগর জীবনও লোক বাংলার সব উপকরণ-উপাদান ধারণ করে না। আজকে রমনার বটমূলে পাকুরমূলে যে বরণউৎসব, তা মূলত এই মহানগরের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর চেতনায় গ্রামীণ লোকাচারের প্রতিচ্ছবি হিসেবে বিবেচিত হয়। তারা মূলত স্মৃতির তাড়না অনুভব করেন।

সেই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সাথে কোনো কিছু বিক্রিবাট্টাও হতো না সেই সূচনাযুগে। কিছু চীনাবাদামওয়ালা আসত এবং যারা গান শুনে মুগ্ধ হতেন, তারাও মুখে বাদামের স্পর্শে নিজেদের অভ্যস্ত করতেন। প্রধান আকর্ষণ অবশ্যই ছিল ছায়ানটের ওই পরিকল্পিত গানের অনুষ্ঠান। মাঝে মধ্যে দু-চার লাইনের আবহ রচনার কথাও বলতেন প্রফেসর সানজিদা খাতুন। কখনো কখনো ওয়াহিদুল হকও সেই কাজটি করতেন। আমরা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে যে যার বাসায় ফিরতাম। এ রকমটি চলেছে পঁচাত্তর-ছিয়াত্তর সাল পর্যন্ত। তার পর এক বছর দেখলাম ঝালমুড়িওয়ালা, বাদাম ও ঝালমেশানোর ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা আসছে। লোকসমাগমও বাড়ছে। চত্বরটা ধারে ধীরে ভরে উঠছে। এমন এক বছর আমরা কয়েকজন, দৈনিক দেশের সহকর্মী বর্ষবরণের দোকান দিই। উদ্দেশ্য- আগত শ্রোতাদের রসনায় পান্তাভাত আর ইলিশ মাছের (ভাজা), নুন, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ তুলে দিয়ে চাষিজীবনের সকালটিকে স্মরণে নিয়ে আসা। হেন কোনো চাষা নেই যারা সকালবেলায় পান্তাভাত খেয়ে লাঙল-জোয়াল আর একজোড়া গরু নিয়ে চাষের জন্য ক্ষেতে যায়নি। সেই উপলব্ধির জন্যই ছিল ওই আয়োজন। সেই সূচনাটা এতটাই সরগরম হয় যে, পরের বছরও আমরা সেই আয়োজন করি। কিন্তু সেই পরের বছর আরো অনেক রকম দোকান হলো, সাথে পান্তা ইলিশেরও। আমরা আর সেই আয়োজন করিনি। এভাবে বর্ষবরণের আয়োজন এতটাই ভরভরান্তিুতে পরিণত হলো যে, সেটি হয়ে উঠল পণ্যবিক্রির মেলা। লোকসমাগমের প্রাচুর্য এতটাই বাড়ল যে, তা ছড়িয়ে পড়ল ওই বটমূল ছেড়ে গোটা রমনাপার্কের অন্যান্য জায়গায়ও। ভেতরের যে লেকের ওপারেও একই রকম আয়োজনের অংশীদার হলো। মূল মঞ্চের কাছাকাছি যাওয়ার উপায় নেই বা ছিল না। তখন চলছে এরশাদীয় শাসনকাল। সেই কালেও, বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীরা বোমাবর্ষণ করে। আহত ও নিহত হন মানুষ। সন্ত্রাসীরা যশোরে উদীচীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানেও বোমাবর্ষণ করে সাংস্কৃতিক প্রবাহে মানুষের আগ্রহকে স্তব্ধ করতে চায়। কিন্তু সেটি তারা করতে পারেনি।

আশি সালের পর থেকেই মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীরা মিছিল করে আসতে থাকে। সেই মিছিলে প্রধানত আমাদের ঐতিহ্যিক প্রতীকগুলোই বহন করা হতো। বছর যতই যাচ্ছিল, ততই সেই মিছিলে যোগ হতে থাকে নানা রকম ফেস্টুন ও জীবজন্তুর প্রতীক। আবহমান বাংলার হাজার বছরে যে সাংস্কৃতিক ধারা তার সাথে যুক্ত হতে থাকে ভিন্ন দেশী সাংস্কৃতিক উপকরণ-উপাদান। কিম্ভূতকিমাকার সব উপকরণ। প্রচলিত প্রতীকগুলোকে কিম্ভূত করে নির্মাণের আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার মতো অপচেষ্টা লক্ষ করি আমরা। মিছিলও বাড়তে থাকে, বর্ষবরণ ব্যাপকভাবে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের উপকরণে ছেয়ে যায়। এটি যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উপাচারকে দূষিত করছে, রাজনৈতিকভাবে তাকে বিশিষ্ট করে তোলা হয়েছিল। আমরা যেহেতু নববর্ষবরণকে প্রতিবাদের চোখে দেখি, সেই আলোকে সেই আশির দশকেই রাজনৈতিক ক্ষমতার চরিত্র বিকৃত রূপে বহন করতে দেখি। গত ১৫ বছরে তা আওয়ামীবিরোধী রাজনীতিকদের চেহারা বিকৃত করে গড়ে তোলা হয় হালকা-পলকা কার্টুন মূর্তি। সেটি বুঝতে পারলেও, গত ১৫-১৬ বছরে তার কোনো প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করা যায়নি। এ বছর দেখছি নির্মিত হচ্ছে শেখ হাসিনার বিকৃত রূপ। পলাতকা শেখ হাসিনা ১৫ বছরে তার চেলা-চামুণ্ডাদের দিয়ে প্রতিবাদী প্রতিরোধীদের যেভাবে বিকৃত ঢিলটি ছুড়েছেন, তার পাটকেলটি আসছে পয়লা বৈশাখের দিন। মঙ্গল শোভাযাত্রাকে এবার নতুন করে পুরনো নামটি ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভযাত্রা’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

বৈচিত্র্য আনার নামে আমরা আমাদের ঐতিহ্যিক প্রতীকগুলোর সঙ্গে পৈশাচিক আকৃতির নবায়ন দেখেছি। আজকে ওই সাংস্কৃতিক ব্যভিচারের জবাব দিতে গিয়ে নিজেরা যেন ব্যভিচার শুরু না করেন, করলে তা যে আমাদের সংস্কৃতিকে দূষিত করবে, সেটি মনে রাখতে বলি। রূপান্তরিত পেঁচার সাংস্কৃতিক অভিঘাত হাতির বিশাল কানসহ এমন সব কিম্ভূত উপকরণ আমাদের চেতনায় ঠেসে ধরা হয়েছে যে, আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। অবশেষে আমরা মুক্তি পেয়েছি বলেই মনে করি।

এ বছর কি চারুকলার শিক্ষার্থীরা মিছিল করে বৈশাখী উৎসবে যোগ দেবে? দেয়াটাই জরুরি। কারণ বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কী এবং তার প্রতীকগুলো কী কী তার একটি প্রাথমিক ধারণা তারা সহজেই দিতে পারেন সেখানে। ধান, পাট, লাঙল, জোয়াল আমাদের কেবল অর্থনৈতিক পণ্যই নয়, আমাদের সাংস্কৃতিক পণ্যও। সাংস্কৃতিক পণ্যই আমাদের মৌল চেতনার প্রবাহ, যা আমাদের সার্বিক জীবনচেতনার নির্মাতা। আমাদের জাতীয় ফলমূল আর তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, লোকজ কারুশিল্প, পট্টশিল্প এবং পটারি বা পটশিল্প যে জীবনকে নির্মাণ করেছে, কুমোরদের গড়া মাটির হাঁড়ি-পাতিলের ব্যবহার কী আমাদের গ্রামীণ জীবনে নেই? জনশ্রেণীর ওই চেহারা কি আমরা গ্রাম থেকে উঠে আসা মহানগরবাসীর চিন্তা-চেতনায় নেই? তারা কি পান্তাভাতের সঙ্গে নুন, লঙ্কা আর পেঁয়াজের রসাল জীবন ভুলে গেছেন?

আমাদের ফিরতে হবে নিজের মাটিতে। তাকে আবারো উজ্জ্বল করে তুলতে হবে। কেননা আমাদের মূল তো নিহিত আছে হাজার হাজার বছরের গ্রামীণ সভ্যতার প্রবহমানতায়।