ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্ত শহিদুল আলম তুরস্কে পৌঁছেছেন

শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং ইসরাইল থেকে তার প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ইসরাইলের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া শহিদুল আলম
ইসরাইলের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া শহিদুল আলম |ছবি : কোলাজ

ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তুরস্কে চলে এসেছেন বাংলাদেশী আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। তুর্কি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে তিনি আজ বিকেলে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছেন। তিনি মুক্তি পাওয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টে কিছু ছবি প্রকাশ করে লেখা হয়, শুক্রবার তুর্কি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ইসরাইল থেকে ফিরে আসার পর বাংলাদেশী আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলমকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

এর আগে, প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, তুরস্কের সূত্র অনুযায়ী, আজ বিকেলে প্রখ্যাত বাংলাদেশী আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমসহ অন্য যাত্রীদের নিয়ে ইসরাইল থেকে একটি ফ্লাইট যাত্রা করেছে। ফ্লাইটটি–টিকে ৬৯২১ (TK 6921)–স্থানীয় সময় দুপুর আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে ইস্তাম্বুলে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করা এবং ইসরাইল থেকে তার প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

গাজায় ইসরাইলি নৌ অবরোধ ভাঙতে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নৌবহরে যুক্ত ছিলেন শহিদুল আলম। থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট নয়টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।

গত বুধবার এই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ইসরাইলি সেনারা। আটকের পর থেকে শহিদুল আলমকে মুক্ত করতে তৎপর হয় বাংলাদেশ।

শুক্রবার সকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে জানানো হয়, ইসরাইলিদের হাতে শহিদুল আলমের অবৈধ আটকের ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার দ্রুত কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়।

জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসকে সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র দফতরের সাথে যোগাযোগ করে শহিদুল আলমের দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়। অবশেষে আটকের দু’দিনের মাথায় মুক্ত হয়েছে জনপ্রিয় এই আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী।