ঈদের দিন কসাই না পাওয়ায় আজ রোববারও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানি চলছে। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, ঈদের দিন ও পরবর্তী দুই দিন অর্থাৎ ১২ জিলহজ পর্যন্ত কোরবানি করার সুযোগ রয়েছে।
সকালে ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই কোরবানির প্রস্তুতি নেন অনেকে।
এদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ঈদের দিনের কোরবানির পশুর বর্জ্য রাতের মধ্যেই অপসারণ করা হয়েছে। তবে রাজধানীর বাসিন্দারা কোরবানি অব্যাহত রাখলে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বর্জ্য অপসারণের কাজ করবেন। এর ফলে রাজধানীর বাসিন্দারা সুবিধামতো সময়ে কোরবানি দিতে পারছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন ৭৫টি ওয়ার্ডে এক লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি করা হয়। কোরবানি শেষ করার পর নাগরিক পর্যায় থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়।
পরবর্তীতে ডাম ট্রাকের মাধ্যমে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ডাম্প করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৩০ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার টন বর্জ্য মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ হাজারের অধিক জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে। ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট ২০৭৯টি যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।
এছাড়া নগরবাসীর মধ্যে প্রায় ৪৫ টন ব্লিচিং পাউডার, পাঁচ লিটার ধারণক্ষমতার ২০৭টি স্যাভলনের গ্যালন এবং এক লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানান, উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সাত হাজার আট শ’ টন বর্জ্য সংগ্রহ করে ডাম্পিং করা হয়েছে, যা কোরবানি উপলক্ষে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যের ৮৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, আগামী দুই দিনও বর্জ্য অপসারণের কাজ চলমান থাকবে। ঢাকাবাসী তাদের সুবিধা মতো সময়ে কোরবানি দেবেন। সকাল, বিকেল, রাত সবসময় আমাদের পরিষ্কার কার্যক্রম চলবে।
সন্ধ্যার মধ্যে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ৮৫ শতাংশ বর্জ্য অপসারণের কথা জানালেও পর রাতে জানানো হয়, রাত সাড়ে ৯টার মধ্যে সব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।



