স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার গবেষণার অগ্রদূত ও এক নিবেদিতপ্রাণ গবেষক।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ |সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও স্থানীয় সরকার বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এক শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণার অন্যতম অগ্রদূত। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে গঠনমূলক ও বাস্তবসম্মত প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন, যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ স্থানীয় সরকার ও সমবায় বিষয়ক একজন লব্ধপ্রতিষ্ঠ গবেষক ও লেখক।

তিনি সারা জীবন দেশের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার ও রাজনীতি বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে তার রচিত প্রায় ২০টি গ্রন্থ ও দেশী-বিদেশী জার্নাল ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত অসংখ্য প্রবন্ধ, যা যুগের পর যুগ ধরে আমাদের জ্ঞানচর্চাকে সমৃদ্ধ করবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক অধ্যাপক জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচিতে (বাংলাদেশ) স্থানীয় শাসন উপদেষ্টা হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন সৎ, প্রজ্ঞাবান ও নিবেদিতপ্রাণ গবেষককে হারাল।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ইন্তেকাল করেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

তোফায়েল আহমেদের জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার জাহান জানান, তার হার্টে তিনটি ‘ব্লক’ ধরা পড়ে। এছাড়া তার ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল তার। বুধবার বিকেলে তার হার্টে রিং পরানোর জন্য অস্ত্রোপচার কক্ষে নেয়া হয়েছিল। অস্ত্রোপচার চলার মধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্র : বাসস