চীনের ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের সাথে ইপিবির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ইউনান প্রদেশের টোংদে কুনমিং প্লাজায় অনুষ্ঠিত মেকং-লানচাং ফল উৎসবে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের ফল উৎপাদক ও রফতানিকারকরা প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছে। তারা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সামনে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য প্রদর্শন করছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
চীনের ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইপিবি
চীনের ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ইপিবি |সংগৃহীত

চীনে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধি এবং সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) চীনের ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

ইউনান প্রদেশের টোংদে কুনমিং প্লাজায় অনুষ্ঠিত মেকং-লানচাং ফল উৎসবে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের ফল উৎপাদক ও রফতানিকারকরা প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করছে। তারা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সামনে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য প্রদর্শন করছে।

থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস ও মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে একই ধরনের সহযোগিতা চুক্তির আওতায় এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে।

বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন ইপিবির মহাপরিচালক ও সরকারের যুগ্মসচিব বেবি রাণী কর্মকার। চীনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ইউনান প্রদেশের বাণিজ্য বিভাগের উপ-মহাপরিচালক মা জুন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ও ফল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুনমিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো: খালেদ, বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্য কাউন্সিলর মো: জিয়াউর রহমান এবং কুনমিং কনসুলেটে বাণিজ্য বিভাগের প্রথম সচিব রিদওয়ান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের নয়জন ফল রফতানিকারক ও উৎপাদক প্রথমবারের মতো এ উৎসবে অংশগ্রহণ করছেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লানচাং মেকং ফল উৎসবে বাংলাদেশের উপস্থিতি এবং এই এমওইউ স্বাক্ষর একসঙ্গে সরকারের রফতানি বহুমুখীকরণ ও বাজার অনুসন্ধানে অবিচল প্রচেষ্টাকে তুলে ধরছে।

চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো ইউনান প্রদেশে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য সুবিধা পাবে, যার মধ্যে রয়েছে—

১. ইউনানের নির্দিষ্ট এলাকায় সর্বোচ্চ ২,০০০ বর্গমিটার পর্যন্ত ভাড়ামুক্ত বন্ডেড গুদাম সুবিধা, যা সরবরাহ শৃঙ্খলার খরচ কমাবে এবং চীনা বাজারে প্রবেশ সহজ করবে।

২. সর্বোচ্চ ২,০০০ বর্গমিটার পর্যন্ত ভাড়া-মুক্ত অফলাইন প্রদর্শনী স্থান, যা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য পণ্য প্রদর্শন ও আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য অংশীদারদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

৩. ইউনানের নির্দিষ্ট অনলাইন কমোডিটি সিটিতে বিনা খরচে অন্তর্ভুক্তি, যার মাধ্যমে একীভূত ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশী রফতানিকারকদের পণ্য প্রদর্শন ও বাণিজ্য পরিচালনার সুযোগ মিলবে।

৪. মার্কেট প্রকিউরমেন্ট ট্রেডের ক্ষেত্রে লজিস্টিক খরচ হ্রাস ও মওকুফ, তাজা ও দ্রুত পচনশীল কৃষিপণ্যের জন্য দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, যা সময়মতো সরবরাহ নিশ্চিত করবে ও ট্রেড খরচ কমাবে এবং বাংলাদেশী পণ্যের প্রতিযোগিতা বাড়াতে সুবিধাজনক এয়ার ফ্রেইট ও লজিস্টিক নীতি সহায়তা পাবে।

দ্রুত কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স কেবল তখনই সুযোগ হয়ে উঠবে যদি রফতানিকারকরা ধারাবাহিকভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ দিতে পারেন। বাংলাদেশকে অবশ্যই কোল্ড চেইন লজিস্টিকস এবং ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে হবে, যাতে সরবরাহ চেইনে শৃঙ্খলা তৈরি হয়।

Topics