ফরেনসিক সাইকোলজি হলো মনোবিজ্ঞানের এমন একটি শাখা, যেখানে অপরাধ, অপরাধী এবং আইনি প্রক্রিয়ার সাথে মানুষের মানসিক আচরণ বিশ্লেষণ করা হয়। যার সাথে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বডি ল্যাংগুয়েজে মনোবৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব)।
ক্র্যাবের আয়োজনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফরেনসিক সাইকোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (বিআইএফপিএস) ও র্যাপিড সলিউশান বিডি’র সার্বিক সহযোগিতায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ক্র্যাব মিলনায়তনের তৃতীয় তলায় দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে বড় অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, সিরিয়াল অপরাধ কিংবা উগ্রবাদের ঘটনায় ফরেনসিক সাইকোলজির ভূমিকা দিন দিন বাড়ছে। যে কোনো চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীর বাচনভঙ্গি, মাথায় কী চলছে, কেন অপরাধ করলো, সত্য বলছে কি-না, এসব বোঝার উপায় তুলে ধরা হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায়।
প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মশালায় ফরেনসিক সাইকোলজির নানা দিক উদাহরণসহ তুলে ধরেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফরেনসিক সাইকোলজি অ্যান্ড সায়েন্সের (বিআইএফপিএস) পরিচালক পিএইচডি গবেষক মো: মিরাজ হোসেন।
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান এবং র্যাপিড সলিউশান বিডির সিইও সোহাগ বিন সাইফুল্লাহ।
সাংবাদিকদের কেন ফরেনসিক সাইকোলজি জানা জরুরি তা তুলে ধরে ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, অপরাধের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা, অপরাধীর আচরণ নিয়ে ভুল ধারণা এড়ানো ও সংবাদে অপরাধীর মানসিক বিশ্লেষণ তুলে আনার কৌশল শেখাতেই এ প্রশিক্ষণের আয়োজন। কার্যকরী এই প্রশিক্ষণ থেকে আশা করি অপরাধ বিষয়ক রিপোর্টাররা উপকৃত হবেন।
ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ বলেন, অপরাধীর আচরণ পর্যবেক্ষণ, অপরাধের পর অনুশোচনার অভাব, নির্দয় বা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা আচরণ, বারবার একই ধরনের অপরাধের চেষ্টা, সমাজের নিয়ম ভাঙাকে তুচ্ছ করা পেশাদার অপরাধীর মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা সাংবাদিকদের বোঝা খুবই গুরুত্ব। সেটা আজকের প্রশিক্ষণে স্পষ্ট উঠে এসেছে।



