সুজনের জরিপ

প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান হিসেবে একই ব্যক্তিকে চান না ৮৭ শতাংশ মানুষ

চলতি বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত জরিপটি চালানো হয়। জরিপের জন্য ৪০টি প্রশ্নে সারা দেশের ১ হাজার ৩৭৩ জনের মতামত নেয়া হয় এবং ১৫টি নাগরিক সংলাপ হয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
জনমতের ফলাফল উপস্থাপন
জনমতের ফলাফল উপস্থাপন |সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী, সংসদনেতা ও দলীয় প্রধানের পদে যাতে আগামীতে একই ব্যক্তি আসতে না পারেন, সেই বিধান চায় দেশের ৮৭ শতাংশ মানুষ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের বেশি থাকতে না পারার পক্ষে ৮৯ শতাংশ উত্তরদাতা।

অন্যদিকে, ৭১ শতাংশ মানুষ উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে আসন বণ্টন চান।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জনমত জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন এই জনমত যাচাইয়ের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

চলতি বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত জরিপটি চালানো হয়। জরিপের জন্য ৪০টি প্রশ্নে সারা দেশের ১ হাজার ৩৭৩ জনের মতামত নেয়া হয় এবং ১৫টি নাগরিক সংলাপ হয়।

জরিপে অংশ নেয়া ৬৯ শতাংশ মানুষ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে মত দিয়েছেন।

জনমত জরিপের ফল বলছে, ঘূর্ণমান পদ্ধতিতে নিম্নকক্ষে নারী আসন সংরক্ষণের পক্ষে ৬৩ শতাংশ ও উচ্চকক্ষে নারীদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষণের পক্ষে ৬৯ শতাংশ মানুষ একমত।

বিরোধী দল থেকে নিম্নকক্ষে একজন ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের পক্ষে মত দিয়েছেন ৮৬ শতাংশ মানুষ। উচ্চকক্ষে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার চান ৮২ শতাংশ মানুষ।

নির্বাচনকালে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে—নির্বাহী বিভাগের এমন কার্যক্রম গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেয়ার বিধান করার পক্ষে মত দিয়েছেন ৮৭ শতাংশ মানুষ।

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রত্যয়ন (সার্টিফাই) করে তা গণবিজ্ঞপ্তি হিসেবে প্রকাশ করার পক্ষে ৮৬ শতাংশ মানুষ মত দিয়েছেন।

৯২ শতাংশ মানুষ মনে করেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিগ্রস্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দলের সদস্য হওয়ার অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিদ্যমান পদ্ধতি, প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। যে কারণে এই ব্যবস্থা পরিবর্তন হওয়া দরকার বলেও মনে করেন তিনি।